গগনযান পাঠানো ছাড়াও আরও দুটি মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ ও আদিত্য এল-১ পাঠানো হবে।
গগনযান মিশন
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে 'গগনযান' (Gaganyaan) পাঠানো নিয়ে বড় ঘোষণা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (Indian Space Research Organisation)। পরের বছরেরই অর্থাৎ ২০২৩ সালে গগনযান পাঠাবে ইসরো। এই প্রথমবার ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযান মহাকাশে পাড়ি দেবে। এই মিশনে ভারতের তিনজন মহাকাশচারী থাকবেন। ২০২০ সালেই গগনযান পাঠানোর কথা ছিল, কিন্তু করোনার কারণে এটি বারবার পিছিয়ে দেওয়া হয়। এবারে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh) জানিয়েছেন যে, পরের বছরেই ইসরোর গগনযান মহাকাশে পাঠানো হবে। এই প্রথমবার মহাকাশচারী নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে গগনযান। গগনযানের প্রধান উদ্দেশ্যই হল পৃথিবার কক্ষপথে মানুষ পাঠানো। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন কর্মসূচিতে ‘গগনযান-২০২২’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
আরও পড়ুন: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের
২০২৩ সালে গগনযান পাঠানোর আগে চলতি বছরেই তিনটি পরীক্ষামূলক যান পাঠানো হবে। এই তিনটি পরীক্ষামূলক যান হবে মানবহীন, তবে এতে একটি মহিলা রোবট পাঠানো হবে। এই 'হাফ-হিউম্যানয়েড' (মানব) রোবট ভ্যোমিত্র (Vyommitra) মহাকাশ থেকে ইসরোকে নানান তথ্য পাঠাবে। এছাড়াও জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে, ইসরো একটি ‘স্পেস ডকিং পরীক্ষা’ চালাবে। দুটি পৃথকভাবে উৎক্ষেপিত মহাকাশযানকে যুক্ত করার প্রক্রিয়াকেই স্পেস ডকিং বলা হয়েছে। মহাকাশচারীদের সুবিধার জন্যে এবার মহাকাশে নিজস্ব মহাকাশ কেন্দ্র তৈরি করতে চায় ভারত। ২০২০ সালে ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান কে সিভান (K Sivan) জানিয়েছিলেন, এই গগনযান মিশন শুরু হওয়ার পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যেই মহাকাশে ভারতীয়দের নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি করা হবে। যার ফলে ভারতীয় মহাকাশচারীরা পৃথিবীর নীচের দিকের কক্ষপথে ১৫-২০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবে।
আরও পড়ুন: সফলভাবে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করল পিএসএলভি-সি৫৩
২০২৩ সালে এই গগনযান পাঠানো ছাড়াও আরও দুটি মহাকাশযান পাঠানো হবে। চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এবং আদিত্য এল-১ (Aditya L-1) এই দুটি মহাকাশযানের একটি চাঁদের উদ্দেশ্যে ও অন্যটি সূর্যকে লক্ষ্য করে যাবে। আদিত্য এল-১ এটি ভারতের প্রথম সৌর মিশন হতে চলেছে। ২০২৩ সালে ইসরোর এই গগনযান মিশন যদি সফল হয়, তবে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর ভারতের নাম যুক্ত হবে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন ইতিমধ্যেই এই লক্ষ্য পূরণ করেছে। ২০২৩ সাল ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানের ইতিহাসে এক নতুন নজির গড়ে তুলতে চলেছে। তাই ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রধান লক্ষ্যই হল মিশন 'গগনযান'।