ISRO-NASA Joint Space Mission: এবার কি ভারত ও আমেরিকা একসঙ্গে চন্দ্রাভিযান করতে চলেছে?
মহাকাশ গবেষণায় হাতে হাত মেলালো নাসা ও ইসরো (ছবি-প্রতীকী)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কি ভারত ও আমেরিকা একসঙ্গে চন্দ্রাভিযান করতে চলেছে? হ্যাঁ, ঠিক তেমনটাই প্রত্যক্ষ করতে চলেছে বিশ্ববাসী। মহাকাশ অভিযানে বড় পদক্ষেপ নিল ভারত ও আমেরিকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের মধ্যেই অতি-গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করল দুদেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এদিন ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’ (Artemis Accord) স্বাক্ষর করেন ভারতের ইসরো ও মার্কিন সংস্থা নাসার কর্তারা। অর্থাৎ, ভবিষ্যৎ মহাকাশ অভিযানেও হাত মেলালো ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এই চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা যৌথভাবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর মিশনে কাজ করবে। পরের বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (সংক্ষেপে আইএসএস) একটি যৌথ অভিযান করবে নাসা এবং ইসরো (ISRO-NASA Joint Space Mission)। আর তা নিয়ে হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। যেখানে দুই মহাকাশ সংস্থার মধ্যে এই চুক্তিকে (Artemis Accord) ঐতিহাসিক বলেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের এক পদস্ত কর্তা বলেছেন, “মহাকাশ অভিযান যাতে সমস্ত মানবজাতির কল্যাণে লাগে সেই লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল আর্টেমিস অ্যাকর্ডস। ভারত এই অ্যাকর্ডস স্বাক্ষর করতে চলেছে।”
আরও পড়ুন: মোদির সফরেই মউ স্বাক্ষর! ভারতেই তৈরি হবে ‘তেজস’-এর উন্নত ইঞ্জিন
সাম্প্রতিককালে, মহাকাশ গবেষণায় অন্যতম বড় নাম হিসেবে দ্রুত উঠে এসেছে ইসরো। মহাকাশ গবেষণায় ইসরোর মুকুটে একের পর এক সাফল্য জুড়েছে। চন্দ্রাভিযান থেকে মঙ্গলাভিযান— স্পর্ধা দেখিয়েছে ইসরো। এখন দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরো। গগনযান অভিযানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্বে। মহাকাশে একটি নিজস্ব স্পেস স্টেশন স্থাপন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ইসরো। পাশাপাশি, নাসার পক্ষ থেকে নতুন করে চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
মহাকাশ অভিযান এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে যাতে সকল দেশ সমানভাবে উপকৃত হয়, সেই বিষয়ে ২০২০ সালে আমেরিকা এবং আরও ৭টি দেশ, নাসার তৈরি এই অ্যাকর্ডস-এ স্বাক্ষর করেছিল। ১৯৬৭ সালের রাষ্ট্রসংঘের মহাকাশ চুক্তির ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয় আর্টেমিস চুক্তি (Artemis Accord)। ২০২৫ সালের মধ্যেই মানুষকে চাঁদে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায় আমেরিকা। আর এই লক্ষ্যেই নাসা শুরু করেছে ‘আর্টেমিস প্রোগ্রাম’। পরবর্তীকালে, মঙ্গল ও শুক্র অভিযানের ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সহযোগিতার মাত্রা আরও বাড়তে পারে। এই চুক্তির আওতায় এখনও পর্যন্ত ২৫টি দেশ রয়েছে। এবার ভারত সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।