img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Chandrayaan 3: ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’-তেই সফল হবে চন্দ্রযান ৩! দাবি ইসরো প্রধানের, বিষয়টা কী?

ISRO: চন্দ্রযান-২-এর ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এবারে কীভাবে চন্দ্রযান-৩-কে রক্ষা করা যায় তা দেখা হয়েছে, দাবি ইসরোর

img

চন্দ্রযান-৩।

  2023-07-11 18:39:16

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: "ব্যর্থতার থেকে শিক্ষা নিয়েই চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) নকশা নির্মিত হয়েছে", সোমবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। আসলে, চন্দ্রযান-২-এর ব্যর্থতা ভুলে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই চন্দ্রযান ৩-এর ইতিহাস লিখতে চাইছে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ৩-এর নকশা তৈরি করা হয়েছে ব্যর্থতাকে ভিত্তি করেই। 

‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’ ঠিক কী?

সাধারণত, অধিকাংশ মিশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ‘সাফল্য-ভিত্তিক নকশা’। যা চন্দ্রযান ২-এর সময়ও করা হয়েছিল। এই নকশার ভিত্তি হল সাফল্য। অর্থাৎ, কোন কোন প্রক্রিয়া ঠিক কাজ করলে, সফল হতে পারে একটি গোটা মিশন। অন্যদিকে, ব্যর্থতা-ভিক্তিক নকশা উল্টো পথে হাঁটে। এখানে দেখা হয়, কোন কোন প্রক্রিয়া ঠিক কাজ না করলে, ব্যর্থ হতে পারে মিশন। এবার সেই ভুলগুলো শুধরানোর জন্য কী কী করা প্রয়োজন, যাতে ব্যর্থতার মুখ না দেখতে হয়। এই পদ্ধতিতে ব্যর্থতার যাবতীয় সম্ভাব্য কারণগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হয়। এইভাবে একেবারে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারা হয়। 

ইসরো প্রধানের যুক্তি

ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, "খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে বলা যায় চন্দ্রযান-২ খুব কম পরিমাণেই আলোর তীব্রতা সহ্য করতে সক্ষম ছিল। আঘাত সইবার ক্ষমতাও ছিল কম। আমরা বিষয়টিকে মাথায় রেখে চন্দ্রযান-৩-কে তৈরি করেছি। চন্দ্রযান-২-এর নকশায় কী কী ভুল ছিল সেগুলিকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ভুলগুলি শুধরে নিয়ে আমরা চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) নকশা প্রস্তুত করেছি। কী কারণে আমাদের আগের অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল সেই বিষয় অনুসন্ধান চালানো হয়েছে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এবারে কীভাবে চন্দ্রযান-৩-কে রক্ষা করা যায় তার উপায়গুলো খুঁজে বার করা হয়েছে।" চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করে রোভারকে স্থাপন করে গবেষণার কাজ চালাবে চন্দ্রযান-৩। লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩-এর সাহায্যে উৎক্ষেপিত হবে চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান-৩-এ থাকছে প্রোপালশান, ল্যান্ডার, রোভার। ১৪ জুলাই দুপুর ২টো বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ উৎক্ষেপণ করা হবে চন্দ্রযান-৩-কে। আশা করা হচ্ছে চাঁদের বুকে সেটি অবতরণ করবে ২৩ থেকে ২৪ অগাস্টের মধ্যে। 

আরও পড়ুন: 'চন্দ্রযান-৩' প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে কত? আগের থেকে তফাৎ কোথায়?

চন্দ্রযান-৩ নিয়ে আশা

চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) মিশন সফল হলেই চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশযান অবতরণকারীদের তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে নাম তুলবে ভারত। জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তাঁর কথায়, "চন্দ্রযান-২ অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর চন্দ্রযান-৩ পরবর্তী চেষ্টা। চন্দ্রযান-৩ মিশনের উদ্দেশ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ড করে রোভারকে স্থাপন করার ক্ষমতাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। চাঁদের কক্ষপথে যাতে নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে পারে সেভাবেই মহাকাশযানটিকে তৈরি করা হয়েছে। চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণের পর চন্দ্রযান-৩-এর ছয় চাকা বিশিষ্ট রোভারটি কাজ করা শুরু করবে। ১৪ দিন (পৃথিবীর ১৪ দিন চাঁদের ১ দিনের সমান) ধরে চাঁদের মাটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। রোভারে থাকা একাধিক ক্য়ামেরার মাধ্যমে হাতে আসবে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি।"

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

ISRO

bangla news

Chandrayaan 3

land rovar


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর