S Somanath: আগামী ২৫ বছরে মহাকাশে প্রচেষ্টায় ৩১০০০ কোটি টাকার অনুমোদন কেন্দ্রের…
ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO)-এর চেয়ারম্যান এস সোমানাথের (S Somanath) মতে, "ভারত একটি উচ্চাকাঙ্খী মহাকাশ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে। যার লক্ষ্য হল ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে একজন নভোচারীকে অবতরণ কারনো।" উল্লেখ্য, ভারতই একমাত্র দেশ যা চন্দ্রযান ৩কে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে ল্যান্ডিং করাতে পেরেছে। অত্যন্ত কম খরচে এই অভিযান চালিয়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ইসরো।
ইসরো কর্ণধারের এই ঘোষণায় যারপরনাই খুশি বিভিন্ন মহল। ভারতের মহাকাশ সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এবং অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য চলতি বছরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ইসরো (ISRO)-র প্রকল্পের জন্য ৩১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন করেছে। ফলে আগামী ২৫ বছর ধরে দেশের মহাকাশ প্রচেষ্টার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গির রোডম্যাপকে বাস্তবায়নের কাজ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ হিন্দুরা চলে যাচ্ছেন, মিনি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে আলিগড়ের বানিয়াপাড়া!
ইসরো (ISRO) প্রধান সোমনাথ (S Somanath) একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আমরা যে মিশনগুলি সম্পন্ন করেছি তাতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির রোডম্যাপ বিরাট সহযোগী হয়েছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই বছরটি আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত বছর ছিল। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মহাকাশ কর্মসূচির বিষয়ে আমাদের আগামী ২৫ বছরের জন্য একটি রোড ম্যাপ পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। এই রোডম্যাপের অংশ হিসাবে, ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে তার নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন স্থাপন করবে। এর একটি পর্যায় সম্পন্ন করে করা হবে ২০২৮ সালের মধ্যে একটি স্পেস স্টেশন মডিউল চালু করার মাধ্যমে। আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ রূপে অপারেশনের মঞ্চ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গির যদি চূড়ান্ত পরিণতি হয় তাহলে ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে সফল ভাবে অবতরণ করানো যাবে।”
ইসরো (ISRO) প্রধান সোমনাথ (S Somanath) আরও বলেন, “যখন আমরা দেশের স্বাধীনতার শততম বর্ষ উদযাপন করব, তখন একটি ভারতীয় পতাকা চাঁদে উড়বে এবং সেই সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষও চাঁদে পৌঁছে যাবেন। একই ভাবে তাঁকে নিরাপদে আবার দেশের মাটিতে ফিরিয়েও আনাও হবে, আর এটাই আমাদের বিরাট কর্মযজ্ঞ হবে। তাই আমাদের লক্ষ্য হল ২০৪০ সাল। আগামী দিনে চন্দ্রযান ৪-সহ একাধিক প্রস্তুতিমূলক মিশন পরিচালিত হবে ইসরোর তরফ থেকে। স্পেস প্রোগ্রামে বৈজ্ঞানিক সাফল্য ব্যাপক ভাবে এসেছে। ২৫০টির বেশি মহাকাশ স্টার্টআপগুলি বর্তমানে উদ্ভাবনী শক্তির জোগানে কাজ করছে। ইতিমধ্যে অগ্নিকুল কসমস একটি তরল-চালিত সাব-অরবিটাল রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। মহাকাশে ব্যয় করা প্রতি টাকার খরচ বাড়িয়ে ২.৫২ টাকা করা হয়েছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।