ইসরোর রকেটের নাম ‘নটি বয়’ কেন জানেন?
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর (ISRO) রকেট। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, যে রকেটে চড়ে উপগ্রহটি মহাকাশে পাড়ি দেবে তার নাম ‘নটি বয় (দুষ্টু ছেলে)’। জানা গিয়েছে, আবহাওয়া সংক্রান্ত পূর্বাভাস আরও নিখুঁত ভাবে দেবে ‘নটি বয়’। এর পাশাপাশি নতুন উপগ্রহটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়েও পৃথিবীপৃষ্ঠে আগাম সতর্কতা পৌঁছে দেবে। মহাকাশ থেকেই ‘নটি বয়’ মাটি এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের উপর নজরদারি চালাবে।
‘নটি বয়’-এর ভালো নাম (ISRO) অবশ্য জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (GSLV)। শনিবারই ঠিক বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ইনস্যাট-থ্রিডিএস-কে পিঠে বসিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেবে রকেটটি। ‘নটি বয়’ ডাকনামটি দিয়েছেন সংস্থার (ইসরো) প্রাক্তন চেয়ারম্যান। হঠাৎ কেন এমন আজব নাম নির্বাচন করা হল? কারণ হল, এই রকেটটির মতিগতি বোঝা খুব শক্ত। রকেটটির মতিগতি বুঝতে হিমশিমও খেতে হয়েছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের। ঠিক যেন মুডের ওপর নির্ভর করে। ভালো থাকলে সফল, অন্যথায় ব্যর্থ। তাই আদর করে সেটির নাম রাখা হয়েছে ‘নটি বয়’। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৫ বার উৎক্ষেপণের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে রকেটটি (ISRO) যার মধ্যে ৬বার ব্যর্থ হয়েছে এটি। শেষবারের জন্য উৎক্ষেপণ করা হয়, ২৯ মে ২০২৩। তখন উৎক্ষেপণ সফল হয়। কিন্তু তার আগে ২০২১ সালের ১২ অগাস্ট রকেটটির উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছিল।
আবহাওয়া বিজ্ঞানী এম রবিচন্দ্রনের কথায়, ‘‘ভারতীয় আবহাওয়া উপগ্রহগুলি আরও উন্নত ভাবে তৈরি করা হয়েছে৷ এই উপগ্রহগুলি (ISRO) আকাশের চোখ হিসাবে কাজ করে। যা ভারতকে ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগ সম্পর্কে নিখুঁত পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করে।’’ জিএসএলভি একটি ত্রিস্তরীয় রকেট যা ৫১.৭ মিটার দীর্ঘ। এর ওজন ৪ লাখ কেজিরও বেশি।
আরও পড়ুন: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।