India's First AI Laboratory: আগামী মাসেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ভারতের এআই গবেষণাগার, তৈরি ছাত্র-ছাত্রীরাও
আগামী মাসেই মহাকাশে ইসরোর প্রথম এআই গবেষণাগার। সংগৃহীত চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ল্যাবরেটরি পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ইসরো। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (PSLV) দ্বারা প্রোবা-৩ মিশনটি মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। হায়দরাবাদ ভিত্তিক বেসকরকারি স্পেস প্রযুক্তি সংস্থা ‘টেকমি ২ স্পেস’ ভারতের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাবরেটরি ‘মাই অরবিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার - টেকনোলজি ডেমোনস্ট্রেটর’ (MOI-TD) মহাকাশে পাঠাচ্ছে। ডিসেম্বরের ৪ তারিখেই এটি পিএসএলভি এক্স এল (PSLV-XL) রকেটে মহাকাশে পৌঁছবে। এই মিশন সফল হলে মহাকাশ গবেষণায় বিপ্লব আনতে সক্ষম হবে ভারত। এমওআই-টিডি(MOI-TD) প্ল্যাটফর্মটি মহাকাশে রিয়েল-টাইম ডেটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে গবেষণা পদ্ধতিকে আরও উন্নত করবে।
বর্তমানে, স্যাটেলাইটের প্রাপ্ত ডেটার ৪০% পর্যন্ত মেঘলা আবহাওয়ার কারণে অকার্যকর হয়ে যায়, যার ফলে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য সপ্তাহের পর সপ্তাহ সময় লাগে। এআই ল্যাব মহাকাশে ডেটা প্রক্রিয়া করে দ্রুত এবং কম খরচে কার্যকরী তথ্য প্রদান করতে সক্ষম হবে। টেকমি২ স্পেসের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও রৌনক কুমার সামানট্রয় বলেন, ‘‘এই গবেষণা মহাকাশ বিজ্ঞানকে আরও উন্মুক্ত করবে।’’ তিনি মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও বিস্তৃত প্রবেশাধিকারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। মহাকাশে এই এআই গবেষণাগার ব্যবহারকারীরা ‘অরবিটল্যাব’ নামে একটি ওয়েব-বেসড কনসোলের মাধ্যমে স্যাটেলাইটের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারবেন। যা তাঁদেরকে পরিবেশগত পর্যবেক্ষণ, বনভূমি উচ্ছেদ এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন শনাক্তকরণের মতো বিভিন্ন এআই মডেল আপলোড করার সুযোগ দেবে।
ISRO to launch India's first AI laboratory to space aboard PSLV-XL Scheduled for December 4 pic.twitter.com/tE5aAa7rrK
— paw0xy (@paw0xy) November 29, 2024
ইসরো সূত্রে জানানো হয়েছে এই মিশনটি "ইনস্পেস টেকনিক্যাল সেন্টার"-এর সমর্থনে তৈরি হয়েছে। যা ভারত সরকারের একটি সংস্থা। আমেদাবাদে অবস্থিত ইনস্পেস "মাই অরবিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার - টেকনোলজি ডেমোনস্ট্রেটর"-কে প্রস্তুত করেছে। তার ওপর সফল পরীক্ষাও করা হয়েছে। এআই অ্যাক্সিলারেটর, নমনীয় সৌর কোষ এবং উন্নত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে এই এআই গবেষণাগারে। এই মিশনটি শুধুমাত্র পৃথিবী থেকে মানুষের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বাড়াবে না, বরং ভবিষ্যতে মহাকাশ ভিত্তিক কম্পিউটিং প্রযুক্তির জন্য ভিত্তি স্থাপন করবে। এই প্ল্যাটফর্ম ইতিমধ্যেই তার প্রথম গবেষণা অংশীদার, মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতীয় স্কুল শিক্ষার্থীদের একটি দলকে পেয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
