img

Follow us on

Thursday, Dec 12, 2024

JNU: ম্যালেরিয়া-কোভিড ১৯ চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে নয়া আবিষ্কার জেএনইউ বিজ্ঞানীদের

Big Discovery: চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিপ্লব! জেএনইউয়ের নয়া আবিষ্কার, জানুন বিশদে...

img

ম্যালেরিয়া ও কোভিড-১৯ এর মতো রোগের সংক্রমণ রুখবে। প্রতীকী ছবি।

  2024-12-07 16:17:36

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় আবিষ্কার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) বিজ্ঞানীদের। ম্যালেরিয়া ও কোভিড ১৯ চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এই আবিষ্কার। জেএনইউয়ের (Big Discovery) স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকিউলার মেডিসিনের দলটি একটি মানব প্রোটিন, ‘এইচএসপি ৭০’-কে চিহ্নিত করেছে।

একাধিক সংক্রমণ রুখবে (JNU)

এই প্রোটিনটি ম্যালেরিয়া ও কোভিড-১৯ এর মতো রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিজ্ঞানীরা রাশিয়া ও ভারতের গবেষকদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করে এইচএসপি ৭০ এর একটি ছোট মলিকিউল ইনহিবিটর তৈরি করেছেন, যা একাধিক সংক্রমণের জন্য একটি বিস্তৃত-স্পেকট্রাম চিকিৎসা হিসাবে কাজ করতে পারে। এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন জেএনইউয়ের স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকিউলার মেডিসিনের অধ্যাপক আনন্দ রঙ্গনাথন এবং শৈলজা সিং। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, এইচএসপি ৭০-কে টার্গেট করা হলে ওষুধ প্রতিরোধ আটকানো যেতে পারে, যা সংক্রমণের চিকিৎসায় একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কারটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল ফর বায়োলজিকাল ম্যাক্রোমলিকিউলসে।

এইচএসপি ৭০ টার্গেট

গবেষণায় দেখা গিয়েছে (JNU), এইচএসপি ৭০ সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন এবং মানুষের এসিই২ রিসেপ্টরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে, যা ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, জ্বরের সময় এইচএসপি ৭০ এর মাত্রা বাড়ে এবং এই সংযোগকে স্থিতিশীল করে। ফলে ভাইরাসটি কোষে সহজেই প্রবেশ করতে পারে। এইচএসপি ৭০ ইনহিবিট করে তারা ল্যাব পরীক্ষায় ভাইরাসের প্রতিলিপি সম্পূর্ণরূপে থামাতে সক্ষম হন। অধ্যাপক শৈলজা সিং বলেন, “ম্যালেরিয়া পরজীবী বা সার্স-কোভ২ এর মতো রোগজীবাণু হোস্টের মেকানিজম ব্যবহার করে বেঁচে থাকে। এইচএসপি ৭০ টার্গেট করে আমরা তাদের প্রতিলিপি তৈরি করার ক্ষমতা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে (Big Discovery) লড়াই করার ক্ষমতা ব্যাহত করতে পারি।"

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

আবিষ্কারের গুরুত্ব প্রসঙ্গে অধ্যাপক রঙ্গনাথন বলেন, “বিশ্ব হয়ত কোভিড ১৯-কে পেছনে ফেলেছে। কিন্তু বিজ্ঞানী হিসেবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমাদের আবিষ্কার ভবিষ্যৎ মহামারির জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করতে পারে।” এইমসের ড. প্রমোদ গর্গ এবং পিএইচডি স্কলার প্রেরণা জোশি-সহ গবেষণার অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা বলেন, "এই গবেষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে একটি সর্বজনীন পদ্ধতি প্রদান করতে পারে (JNU)।"

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

 

Tags:

JNU

Madhyom

bangla news

Bengali news

Science News

Research

news in bengali

Big Discovery


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর