২০৪২ সালে আবার এমন মহাজাগতিক ঘটনা ঘটবে
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৫ মে বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনা ঘটতে চলেছে রাতের আকাশে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের আলো তির্যকভাবে পৃথিবীতে পড়ে যে ছায়ার সৃষ্টি হয় তার একেবারে বাইরের অংশকে বলা হয় পেনুমব্রা। ৫ মে পৃথিবীর সেই সূক্ষ্ম আবছায়া অংশের মধ্যে দিয়ে যাবে চাঁদ। চন্দ্রগ্রহণের সময় রাত ৮টা ৪৪ মিনিট। তবে ভারতে এই চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse) দেখা যাবেনা। জানা যাচ্ছে, এশিয়া, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের কিছু অংশে দেখা যাবে।
সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় চাঁদ। সূর্যের আলো চাঁদের উপর পড়ে প্রতিফলিত হলে চাঁদকে আলোকিত দেখায়। মহাজাগতিক নিয়মে সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ এক সরলরেখায় চলে এলে, পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। তখন হয় চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse)। একই সরলরেখায় অবস্থান করলেও সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদের অবস্থানের উপর নির্ভর করে পূর্ণগ্রাস বা আংশিক (খণ্ড) গ্রাস, চন্দ্রগ্রহণ হয়।
সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরলরেখায় না অবস্থান করার কারণে পৃথিবী সূর্যের আলোর কিছু অংশ চাঁদে পৌঁছনো থেকে আটকে দেয় এবং চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে ঢুকে যায়। বস্তুত, চন্দ্রগ্রহণের উপযোগী পরিবেশ নির্ভর করে মূলত দু’টি বিষয়ের উপর। প্রথমত, পূর্ণচন্দ্র বা পূর্ণিমার সময় হতে হবে এবং দ্বিতীয়ত, সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদকে মোটামুটি ভাবে সরলরেখায় অবস্থান করতে হবে। আগামী ৫ মে, মহাকাশে তেমনই ঘটনা ঘটতে চলেছে। এই বিশেষ গ্রহণটিকে পেনুব্রাল গ্রহণও বলা হয়ে থাকে। কারণ, পৃথিবীর একেবারে বাইরের ছায়াকে বলা হয় পেনুমব্রা।
জানা যাচ্ছে, এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনাটি আগামী ৫ মের পর আবার দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ২০ বছর। ২০৪২ সালে আবার এমন মহাজাগতিক ঘটনা ঘটবে। অর্থাৎ, আগামী ৫ মে-র গ্রহণ দেখতে না পারলে তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৯ বছর। ৫ মে-র চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে রাতের আকাশে। অর্থাৎ, গ্রহণের সময় বিশ্বের যে অর্ধেক অংশে রাত, সেখানে বিরল চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: