আর্টেমিস থ্রি মিশনটি ২০২৫ সালে মহাকাশচারীদের নিয়ে শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে নাসা-র (NASA) আর্টেমিস ১ প্রোগ্রাম (Artemis 1 Program)। খুব শীঘ্রই নাসা লঞ্চ করতে চলেছে আর্টেমিস ১ মিশনের স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (Space Launch System) (SLS) রকেট। আর বছর দুয়েক পর ফের চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছে মানুষ। আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা (NASA) চাঁদে সম্ভাব্য কোথায় অবতরণ করবে তাও ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষ তো খেলনা নয়! জানেন কি আর্টেমিস-১ রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে 'খেলনা-মানুষ'?
২৯ অগাস্টেই মহাকাশের পথে যাত্রা করবে আর্টেমিস ওয়ানের ওরিয়ন স্পেসক্রাফট (Orion Spacecraft)। নাসা-র স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটটিকে ২৯ অগাস্ট লঞ্চ করা হবে। নাসা শুক্রবার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, আর্টেমিস থ্রি মিশনে মহাকাশচারীরা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি অঞ্চলে অবতরণ করতে চলেছে। দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি ১৩ টি জায়গা নাসা বেছে নিয়েছে অবতরণ করার জন্য। আর্টেমিস থ্রি মিশনটি ২০২৫ সালে মহাকাশচারীদের নিয়ে শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। অ্যাপালো মিশন বন্ধ হওয়ার পর পাঁচ দশকের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে।
আরও পড়ুন: আর্টেমিস-১ মুন মিশনে ভারতীয় যোগ, প্রকল্পে যুক্ত হলেন বিজ্ঞানী অমিত পাণ্ডে
যেই ১৩ টি জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হল ফাউস্টিনি রিম এ, পিক নিয়ার শ্যাকলটন, কানেক্টিং রিজ, কানেক্টিং রিজ এক্সটেনশন, ডি গারলাচে রিম 1, ডি গারলাচে রিম 2, ডি গারলাচে-কোচার ম্যাসিফ, হাওর্থ, মালাপের্ট ম্যাসিফ, লিবনিটজ বিটা মালভূমি, নোবিল রিম 1, নোবিল রিমসেন 2। এই জায়গাগুলো চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অক্ষাংশের ৬ ডিগ্রির মধ্যে অবস্থিত। নাসা আরও জানায়, যেই জায়গাগুলো বেছে নেওয়া হয়েছে, সেগুলোকে নিয়ে বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল গবেষণা করছে। মূলত, ভূখণ্ড, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আলোর ব্যবস্থা, মহাকাশচারীদের অনুকূল পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে অবতরণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। আর্টেমিস মিশনের মাধ্যমে নাসা প্রথম চাঁদে মহিলা পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। নাসা থেকে জানানো হয়েছে, যদিও চাঁদের প্রতিটি অঞ্চলেই অবতরণের পরিবেশ রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে।