এই ঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার ।
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার ধেয়ে এসেছে সৌর ঝড় (Solar Wind)। চলতি মাসের ৭ অগাস্ট অর্থাৎ রবিবার সূর্যে সৃষ্টি সেই ঝড় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসেছিল। প্রায়ই সৌর ঝড় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, এতে কোনও আশ্চর্যের বিষয় নেই, কিন্তু এবারের এই সৌর ঝড় উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কারণ এই ঝড়টি একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল। এই ঝড়ের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার ছিল।
সাধারণত বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে, সৌর কলঙ্কের কারণেই সৌর ঝড় তৈরি হয়। আর এই সৌর ঝড়ের কারণেই পৃথিবীকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর কারণে সমস্যা তৈরি হতে পারে উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থায়। বিদ্যুৎ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করেন, এর ফলে প্রযুক্তির সাহায্যে চলা অনেক কিছুই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এবারের সৌর ঝড়ে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি পৃথিবীর।
আরও পড়ুন: সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! ফল কী হতে পারে? জানুন
মনে করা হয় যে, যখন সূর্যের মাধ্যাকর্ষণের দ্বারা উচ্চ শক্তিযুক্ত কণা এবং প্লাজমার প্রবাহকে আটকে রাখা যায় না, তখন তা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে ও সৌর ঝড় ঘটে। সূর্যের মধ্যে উজ্জ্বল প্যাচ দেখা যায়। এই প্যাচগুলো 'করোনাল হোল' নামে পরিচিত। করোনাল হোল হল সূর্যের বায়ুমণ্ডলের এমন একটি এলাকা যেখানে আমাদের নক্ষত্রের বিদ্যুতায়িত গ্যাস বা প্লাজমা শীতল বা কম ঘন। এই ধরনের গর্তগুলি ওই প্লাজমাকে বাইরের দিকে পাঠিয়ে দেয়। আর সেই প্যাচ বা গর্তগুলো থেকেই এই কণাগুলি বেরিয়ে এসে সৌর ঝড়ের সৃষ্টি করে। বিজ্ঞানীরা আবার এগুলো ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেন। কারণ এইসব পর্যবেক্ষণের পরেই বিজ্ঞানীরা মহাকাশের আবহাওয়া সম্পর্কে জানতে পারেন। এছাড়াও কবে সৌর ঝড় পৃথিবীর বুকে আসতে চলেছে, কতটা শক্তিশালী হতে পারে সৌর ঝড়, এসব সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকেন বিজ্ঞানীরা।
গত রবিবারের প্রথম দিকে, নাসার ডিপ স্পেস ক্লাইমেট অবজারভেটরি (DSCOVR) হালকা সৌর বাতাসের প্রবাহ লক্ষ্য করেছে। যদিও এই সৌর ঝড়ের আসল কারণ জানা যায়নি। এবারের সৌর ঝড় জি২ মাত্রায় আছড়ে পড়েছিল। প্রসঙ্গত, সৌর ঝড় বা ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়কে জি স্কেলে (G-Scale) পরিমাপ করা হয়। জি স্কেলের ১-৫ স্কেলে মাপ করা হয়, যার মধ্যে ১ নম্বর সবচেয়ে দুর্বল এবং ৫ নম্বর মাপের ঝড়ে ক্ষতির সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা থাকে। পেনসিলভানিয়ায় অনেকে সৌর ঝড়ের ফলে সৃষ্টি হওয়া মেরুপ্রভা বা অরোরা দেখতেও পেয়েছিল।
Tags: