এই গবেষণার সবচেয়ে বড় সাফল্য হল, এই গবেষণা থেকেই জানা গিয়েছে, ভাইরাস কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে "সেলুলার ইন্টেল" কৌশল ব্যবহার করে।
ভাইরাস
মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: একটি ভাইরাস কতদিন কারও শরীরে সুপ্ত থাকবে এবং কখন বৃদ্ধি পাবে এবং কখন কোষকে ধ্বংস করবে, এইসবই সে পরিবেশ থেকে নেওয়া তথ্য ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নেয়। সম্প্রতি গবেষণায় (Study on Virus) দেখা গিয়েছে, ভাইরাসগুলি তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতার পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করে। এ বিষয়ে এক গবেষক বলেছেন, "আমরা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে এই বিষয়টিকে লাগাতে পারি।"
আরও পড়ুন: ফের নয়া বিপদ, করোনা ভাইরাসের মতো লক্ষণ পাওয়া গেল রাশিয়ান বাদুড়ে!
গবেষক ইভান এরিল বলেছেন, ভাইরাস এবং এর হোস্টের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া আরও জটিল হয়, কারণ ভাইরাস ক্রমাগত পরিবেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। নতুন গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল ব্যাকটিরিওফেজ, যা "ফেজ" নামেও পরিচিত। যে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে সংক্রমিত করে, এই গবেষণা মূলত সেই ভাইরাসের ওপর। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফেজগুলি কেবল তখনই তাদের হোস্টকে আক্রমণ করতে পারে যখন হোস্ট ব্যাকটেরিয়াগুলির পিলি এবং ফ্ল্যাজেলা নামক বিশেষ উপাঙ্গ থাকে। এই উপাঙ্গ চলাচল এবং প্রজননে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে কোভিডও! পুজোর মুখে ফের সংক্রমণের আতঙ্ক
এরিল বলেন, "ফেজ সম্পর্কে আমরা যা কিছু জানি, তা হল, এরা ক্রমাগত এদের হোস্টের ওপর নজর রাখে। মানুষের শরীরেও একই ঘটনা ঘটায়।" এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে ফেজগুলি তাদের আশেপাশের পরিবেশকে পর্যবেক্ষণ করে। কিন্তু হোস্টকে আক্রমণ করার কৌশল এক এক ফেজের ক্ষেত্রে এক এক রকম।
এরিলের মতে, এই নতুন গবেষণাটিতে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে, ফেজগুলি কোষের কার্যকলাপের উপর নজর রাখে। তিনি দাবি করেছেন যে, তাঁর দলের সদস্যরা ইতিমধ্যে ফেজে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রক রাসায়নিকের জন্য রিসেপ্টর অনুসন্ধান শুরু করেছে এবং তাঁরা তাতে সফলতাও পেয়েছেন।
এই গবেষণার সবচেয়ে বড় সাফল্য হল, এই গবেষণা থেকেই জানা গিয়েছে, ভাইরাস কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে "সেলুলার ইন্টেল" কৌশল ব্যবহার করে। এর থেকে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, ব্যাক্টেরিয়া যদি এই কৌশল ব্যবহার করে, তাহলে নিশ্চই উদ্ভিত এবং প্রাণীদের ক্ষেত্রেও এই রকম কোনও কৌশল রয়েছে।
Tags: