সিন্ধুজা-১ ( Wave Energy) , আসলে হল একটি ভাসমান buoy
মাদ্রাজ আইআইটির গবেষক দল
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটি মানেই নতুন ইনোভেশন। সম্প্রতি, আইআইটি মাদ্রাজের গবেষকরা এমন একটি সিস্টেমের ডেভলপমেন্ট করেছেন যা সমুদ্রের ঢেউ-এর তরঙ্গ ( Wave Energy) থেকে শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে৷ সিস্টেমটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে সিন্ধুজা-১। গবেষকরা তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন উপকূল থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে সিন্ধুজা-১ কে স্থাপন করেছিলেন, যেখানে সমুদ্রের গভীরতা প্রায় ২০ মিটার। সিন্ধুজা-১ ( Wave Energy) বর্তমানে ১০০ ওয়াট শক্তি উৎপাদন করতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আগামী তিন বছরে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এক মেগাওয়াট শক্তি উৎপাদন।
Department of Ocean Engineering, IIT Madras এর প্রফেসর সামাদ বাবু বলেন,
“বর্তমানে আপনি যদি চেন্নাইয়ের মতো একটি শহর বা এর থেকেও যেকোনও ছোট শহর গড়ে তুলতে চান তবে প্রচলিত শক্তির উৎস ব্যবহার করা অনেক সস্তা। কিন্তু দূরবর্তী স্থানের ক্ষেত্রে, যেমন ধরুন কোনও দ্বীপ, এক্ষেত্রে সমুদ্রের উপর দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহনের খরচ অনেক বেশি। ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ( Wave Energy) এক্ষেত্রে কার্যকরী উপায়"।
সিন্ধুজা-১ ( Wave Energy) , আসলে হল একটি ভাসমান buoy, এতে রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক মডিউল এবং একটি spar. ঢেউগুলির গতি অনুযায়ী buoyটি উপরে এবং নীচে চলে যায়। এই buoy এর কেন্দ্রে একটি ছিদ্র রয়েছে যা spar-কে এটির মধ্য দিয়ে যেতে দেবে। ঢেউয়ে buoyটি যাতে সরে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য sparটি সমুদ্রের তলায় স্থির রাখা হয়। ঢেউ-এর কারণে যখন buoyটি নড়ে এবং sparটি স্থির থাকে তখন উভয়ের মধ্যে আপেক্ষিক গতি তৈরি হয়। এই আপেক্ষিক গতির সাহায্যে, একটি বৈদ্যুতিক জেনারেটর শক্তি উৎপাদন ( Wave Energy) করে।
তবে সিস্টেম থেকে উৎপাদিত শক্তিকে ( Wave Energy) ব্যবহার করতে পারে এমন কোনও ডিভাইস নেই। গবেষক দলটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ওই অবস্থানে remote water desalination system এবং একটি নজরদারি ক্যামেরা স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে৷ আবহাওয়ার পরিবর্তন বিদ্যুৎ উৎপাদনকে প্রভাবিত করে নাকি তারজন্য আরও পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করেছে৷
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: