মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন সীমা হায়দার (Seema Haider)। যদিও তাঁর গতিবিধির সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় বলেই মনে করেছে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা। এখনও চলছে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু পাক রহস্যময়ী ভারতের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই যেন তাঁর কপাল খুলতে শুরু করেছে। প্রতিমাসে একলাখি চাকরির অফার যেমন পেয়েছেন এই দম্পতি, ঠিক তেমনি আসছে অভিনয়ের কাজের সুযোগও। সামান্য মধ্যবিত্ত পরিবারের সচিনের আর্থিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়। কিন্তু এবার আসতে শুরু করেছে একের পর এক রোজগারের সন্ধান।
প্রতিমাসে একলাখি বেতনের চাকরির অফার পেয়েছে সীমা-সচিন (Seema Haider)
চলতি সপ্তাহের গ্রেটার নয়ডার রাব্বুপুর গ্রামে সচিনের বসত বাড়িতে একটি চিঠি আসে। সে চিঠি ঘিরে পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। সুরক্ষা স্বার্থে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠির বিষয়ে জানায়। মেলে চিঠি খোলার অনুমতি! চিঠি খুলতেই বোঝা যায় এযেন রত্নের খনি! দেখা যায় সচিন এবং সীমা উভয়কেই কাজের অফার দিয়েছেন এক গুজরাটি ব্যবসায়ী। প্রতিজনের মাসে বেতন পঞ্চাশ হাজার টাকা করে ঠিক করেছেন ওই ব্যবসায়ী। এতো গেল চাকরির সুযোগ! পাশাপাশি অভিনয়ের প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে পাকবধূ সীমা হায়দারকে (Seema Haider)।
অভিনয়ের অডিশনও দিয়েছেন সীমা (Seema Haider)
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সীমা (Seema Haider) নাকি ছবির অডিশনও ইতিমধ্যে দিয়ে ফেলেছেন। তাঁর অডিশন নিতে রব্বুপুর গ্রামে হাজির হয়েছিলেন দুই পরিচালক। জানা গিয়েছে ‘ফায়ারফক্স প্রোডাকশন হাউসের’ সদস্যরা সচিন-সীমার বাড়িতেও আসেন। ‘আ টেলার মার্ডার স্টোরি’ নামের ওই ছবিতে নাকি ইতিমধ্যে অডিশনও দিয়েছেন পাবজি প্রেমিকা সীমা। সেখানে তাঁকে দেখা যেতে পারে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এজেন্টের ভূমিকায়। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে এখনও পর্যন্ত সীমা সম্মতি দেননি। কারণ উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা এখনও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং জেরা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব থেকে মুক্তি পেলেই তিনি অভিনয়ে নামবেন বলে জানিয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours