Serial Killer: ভোপালে সিরিয়াল কিলার আতঙ্ক, নেহাতই ‘বিখ্যাত’ হতে খুন, জানাল অভিযুক্ত

কেন নিরীহ মানুষকে খুন করত, এই প্রশ্ন করলে তার উত্তরে রীতিমতো হতবাক হয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। 
Serial_Killer_
Serial_Killer_

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: 'সিরিয়াল কিলার' (Serial Killer) আতঙ্ক ঘুম কেড়েছে ভোপালবাসীর (Bhopal)। নিছক 'বিখ্যাত' (Famous) হওয়ার নেশায় পাথর দিয়ে থেঁতলে একের পর এক মানুষ খুন। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে নিজেই এমনটা জানিয়েছে সাম্প্রতিক কালের 'স্টোন ম্যান' (Stone Man)। বয়স মাত্র ১৯ বছর। আর তাতেই খবরের শিরোনামে আসার নেশা পেয়ে বসেছিল তাকে। সে কারণেই এমন পথ বেছে নেয় ওই যুবক। 

আরও পড়ুন: দুবছর পর ফের মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে দেখা গেল 'ব্ল্যাক প্য়ান্থার', ভাইরাল ভিডিও

শুধুমাত্র নিরাপত্তারক্ষীদের খুঁজে খুঁজেই শিকার বানাত সে। তারপর কোদাল, হাতুড়ি, পাথর দিয়ে খুন করত নিরীহ মানুষগুলিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৭২ ঘণ্টায় তিনজন নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করেছে ওই অভিযুক্ত। মূলত নিরাপত্তারক্ষীরা যখন ঘুমিয়ে থাকতেন, তখনই তাঁদের ওপর আক্রমণ চালাত বলে জেরায় জানতে পেরেছে মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) পুলিশ। অভিযুক্তের ফোনের টাওয়ারের লোকেশন ট্র্যাক করে শুক্রবার ভোর রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

কেন নিরীহ মানুষকে খুন করত, এই প্রশ্ন করলে তার উত্তরে রীতিমতো হতবাক হয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। অভিযুক্ত জানায় শুধুমাত্র 'বিখ্যাত' হতে চেয়েছিল সে। আর তাতেই একের পর এক নিরীহ মানুষের বলি।  

অভিযুক্তের শেষ শিকার ছিলেন সাগর জেলার মঙ্গল আহিরবার। মঙ্গলবার রাতে তাঁর উপর হামলা চালায় ওই খুনি। বুধবার ভোপালের এক  হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ওই ব্যক্তির দেওয়া বয়ান এবং সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করেছিল পুলিশ। মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল কুড়ি হাজার টাকা। কিন্তু অবশেষে পুলিশই উদ্যোগ নিয়ে পাকড়াও করে তাকে।

আরও পড়ুন: র্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করা 'মির্চি বাবা' 

গত ২৮ অগাস্ট ৫০ বছরের কল্যাণ লোধী নামের এক ব্যক্তিকে প্রথম খুন করে ওই অভিযুক্ত। একটি কারখানায় নিরাপত্তারক্ষার কাজ করতেন তিনি। হাতুড়ি দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সাগর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিক্রম সিংহ কুশওয়া। অভিযুক্তের দ্বিতীয় শিকার ছিলেন বছর ষাটের শম্ভু নারায়ণ দুবে। আর্টস অ্যান্ড কমার্স কলেজে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তাঁর মাথা পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়। মে মাসে উত্তম রাজাক বলে এক ব্যক্তিকে খুন করে সে। একটি ওভারব্রিজ কন্সট্রাকশন সাইটে নিরপত্তারক্ষীর কাজ করতেন তিনি। 

পুলিশ আপাতত চারটি খুনের খোঁজ পেলেও, অভিযুক্ত নিজেই দাবি করেছে সে মোট ছয় জনকে খুন করেছে। এই বাকি দুজন কে, এখন তারই সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles