মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) লাভ জিহাদের (Love Jihad) ছায়া! লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা এক অন্তঃসত্ত্বা হিন্দু মহিলাকে জোর করে ধর্মান্তরণ (Conversion) ও খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবক-সহ তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। ওই যুবক ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একজন পলাতক। তার খোঁজ চলছে।
ফের ধর্মান্তরের চেষ্টা
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি (lakhimpur kheri) জেলার শাহজাহানপুরে (Shahjahanpur)। অভিযুক্তের নাম নাভেদ। সীমা গৌতম (২৪) নামে ওই মহিলার সঙ্গে গত দেড় বছর ধরে লিভ-ইন (Conversion) করছিল নাভেদ। লখিমপুর খেরির রোজা এলাকায়, মুস্তাকিম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকত নাভেদ ও সীমা। গত শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ সীমাকে নিয়ে ওই জেলার একটি হাসপাতালে যান নাভেদ ও ফারহান। দুজনেই হাসপাতালে ভর্তির সময় কর্তৃপক্ষকে বলেছিল যে মহিলা নাভেদের স্ত্রী জোয়া সিদ্দিকি। ফারহান, নাভেদের বন্ধু। এরপর সীমাকে দেখে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সীমা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পুলিশ আসার আগেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় নাভেদ ও ফারহান।
আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী
পরিবারের অভিযোগ
সীমার ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। নাভেদ ও ফারহানকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার এস আনন্দ জানিয়েছেন, মহিলার ভাইয়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে, নাভেদ, মুস্তাকিম এবং ফারহানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, তফশিলি জাতি/তফশিলি উপজাতি আইন এবং উত্তরপ্রদেশের বেআইনি ধর্মান্তর আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রথমে ভালবাসার নাটক করে পরে সীমার ধর্ম পরিবর্তন (Conversion) করার চেষ্টা করে নাভেদ। মুস্তাকিমের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ক্রমাগত তাঁকে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য চাপ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ফের উত্তপ্ত মণিপুর! হিংসায় নিহত ৫
সীমার ভাইয়ের অভিযোগ, তাঁর বোন নাভেদকে ভালবাসলেও, ধর্ম পরিবর্তন (Conversion) করতে রাজি ছিল না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বচসা বাঁধে। সীমাকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁর ভাই। পুলিশ জানিয়েছে, নাভেদ ও ফারহান এখন জেলে। মুস্তাকিমের খোঁজ চলছে। পুলিশ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। সেই সঙ্গে ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours