মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে আর ১টা দিন বাকি, তারপরেই বাঙালি মেতে উঠবে সরস্বতী পুজোর আরাধনায়। অল্পবয়সী ছেলেদের দেখা যাবে পাঞ্জাবি পাজামার সাজে, মেয়েরা পড়বে শাড়ি। স্কুল, কলেজ সমেত যেকোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকলের সঙ্গে পাত পেড়ে খিচুড়ি প্রসাদ গ্রহন! এটাইতো সরস্বতী পুজো। সরস্বতী পুজো বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। এর ঠিক পরের দিন হয় ষষ্ঠী। বাঙালি বাড়িতে এদিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার রীতি দেখা যায়। শীতল ষষ্ঠীর (Sital Sasthi) ব্রত পালন করেন বাঙালি মহিলারা। ব্রত পালনের পর সন্তানদের মঙ্গল কামনায় হলুদ আর দইয়ের ফোঁটা পরিয়ে দেন মায়েরা। শীতল ষষ্ঠী গ্রাম বাংলার চলতি ভাষায় শেতলা ষষ্ঠী (Sital Sasthi) নামেও পরিচিত। বছরভর বাঙালি বাড়িতে বিভিন্ন ষষ্ঠী পুজোর মধ্যে অন্যতম হল শীতল ষষ্ঠী (Sital Sasthi)।
এদিন গোটা সেদ্ধ কেন খাওয়া হয়
শীতল ষষ্ঠীর (Sital Sasthi) দিন বাঙালি বাড়িতে উনুন জ্বলেনা। মানে এখনকার দিনে গ্যাস ওভেন। বাঙালি বাড়িতে এদিন অরন্ধন পালিত হয়। অনেকে মনে করেন, শীতল খাদ্য গ্রহণের রীতির পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত এবং সামাজিক ব্যাখ্যা। বসন্ত পঞ্চমী সাধারণত হয় শীত ও বসন্তের মাঝামাঝি সময়ে। এ সময় শরীরে জীবাণুর বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই এইদিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার রীতি রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।
এই গোটা সেদ্ধর মধ্যে কী কী থাকে ?
গোটা মুগ, বকড়াই, গোটা শিম, গোটা আলু, রাঙা আলু, কুলিবেগুন, কড়াইশুঁটি, পালংশাক। এগুলি লবণ আর লঙ্কা দিয়ে সেদ্ধ করা হয়ে থাকে। অনেকে এর মধ্যে গোটা মশলা দেন তবে বেশিরভাগই কোনও মশলা না দিয়েই গোটাসেদ্ধ তৈরি করেন। সরস্বতী পুজোর পর দিন সকালে ষষ্ঠী থাকতে থাকতে হয় ষষ্ঠীপুজো হয়। তারপর হয় বাড়ির শীল, নোড়ার পুজো। ফুল, প্রসাদ দিয়ে শীল-নোড়ার পুজো করার পরে দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয় শীল-নোড়াতে।
+ There are no comments
Add yours