মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার প্রহর গোণা শেষ হল সিউড়িবাসীর (Inhabitants of Siuri)। রবিবারের শুভক্ষণে চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেসের (Siuri Sealdah Express)। এই ট্রেনে চড়েই খুব কম সময়ে সিউড়ি (Siuri) থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে কলকাতার (Kolkata) প্রাণকেন্দ্রে। তাই ট্রেনযাত্রার সূচনা হতেই সিউড়িতে শুরু হয়ে গেল উৎসব।
এই উৎসবের নান্দীমুখ হয়েছিল আগেই। কিছুদিন আগেই রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৩১ জুলাই উদ্বোধন হবে সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেসের। তার পরেই একটু একটু করে ডানা মেলতে শুরু করেছিল সিউড়িবাসীর স্বপ্ন। সেই স্বপ্নই পূরণ হল রবিবার।
সিউড়ি থেকে কলকাতা যাত্রার একটা দুরন্ত গতির ট্রেনের দাবি সিউড়িবাসীর দীর্ঘদিনের। সেই দাবি পূরণে ব্যর্থ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। উদাসীনতার অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হন প্রাক্তন সাংবাদিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে জনতার নাড়ি বোঝেন। ভোটে অবশ্য হেরে যান সিউড়ির ভূমিপুত্র জগন্নাথ। জনতা তাঁকে চাইলে কী হবে, শাসক দলের ভোট মেশিনারির কাছে পরাস্ত হন তিনি। তা সত্ত্বেও সিউড়িবাসীর স্বপ্ন পূরণে উদ্যোগী হন জগন্নাথ। কথা বলেন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে। আশ্বাস নিয়ে তবেই ফেরেন দিল্লি থেকে। সেই খবর আগেই মাধ্যম জানিয়ে দিয়েছে পাঠকদের। সিউড়িবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত সেই স্বপ্নই পূরণ হল এদিন।
আরও পড়ুন : রবিবার থেকেই সিউড়ি-শিয়ালদহ নতুন ট্রেন
রবিরার দুপুরে সিউড়ি ছিল আক্ষরিক অর্থেই উৎসবের মেজাজে। রঙিন বেলুন, ঢাক ও ব্যান্ড পার্টি সহযোগে বিজেপি কর্মীরা তরুণ তুর্কি নেতা জগন্নাথকে সঙ্গে নিয়ে যান সিউড়ি স্টেশনে। সেখানে তার পরে পরেই চলে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মেমু এক্সপ্রেসের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু, জগন্নাথ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বীরভূম এগোবে জগন্নাথের মতো তরুণ নেতার হাত ধরে। প্রকৃত শান্তিনিকেতন তৈরি হবে এখানে। ট্রেন চালু হওয়ায় যারপরনাই খুশি জগন্নাথ। বলেন, যা করার কথা ছিল বিধায়ক, সাংসদের, তাঁরা তা করেননি। আমি হেরে গিয়েও সিড়ড়িবাসীর দাবি পূরণ করার স্বপ্ন দেখা ছাড়িনি। সেই স্বপ্নই পূরণ হল এদিন। সিউড়িবাসীর স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগল ৭৫ বছর!
পয়লা আগস্ট থেকে প্রতিদিন ভোর ৫টা ২০-তে এই মেমু এক্সপ্রেস ছাড়বে সিউড়ি থেকে। পথে ট্রেনটি দাঁড়াবে পাণ্ডবেশ্বর, অন্ডাল, দুর্গাপুর, পানাগড়, বর্ধমান, ব্যান্ডেল এবং নৈহাটিতে। শিয়ালদহ পৌঁছবে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে। স্বাভাবিকভাবেই বিরাট সুবিধা হবে অফিস যাত্রীদের। বিকেলে ফের শিয়ালদহ থেকে ট্রেনটি ছাড়বে ৫টা ২৫ মিনিটে। সিউড়ি পৌঁছবে রাত ৯টা ৩২এ। ফলে ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দিনের দিন কলকাতায় কাজ সেরে ফের ঘরে ফেরার সুযোগ এবার সিউড়িবাসীর হাতের মুঠোয়। তাই সিউড়িবাসীর মুখে এখন কেবলই জগন্নাথ-স্তুতি।
আরও পড়ুন : টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!
+ There are no comments
Add yours