Bomb Blast: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত ১০, জখম ১৪

উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণ, মৃতের সংখ্যা কত জানেন?
Bomb_blast_(15)
Bomb_blast_(15)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলের পর উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের জগন্নাথপুর মোচপোল সংলগ্ন একটি বেআইনিভাবে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। বোমা বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ দু-তিনশো মিটার দূরে কারও বাড়ির চালে, কারও পাঁচিলে, ছাদে উঠে যায়। আশপাশের পাকা বাড়ি গুঁড়িয়ে যায়। পাকা দোতলা বাড়ির বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। সব মিলিয়ে এদিন দুপুর পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জখম হয়েছেন ১৪ জন। তাঁদের বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, আহতদের মধ্যে কয়েকটি শিশু-ও থাকতে পারে।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Bomb Blast)

দীর্ঘদিন ধরেই ওই বাড়িতে বেআইনি বাজি কারখানাটি চলছিল। এগরার খাদিকুলের ঘটনার পর পুলিশি অভিযানের কারণে কয়েকদিন বন্ধ ছিল। তারপর ফের রমরমিয়ে কারবার চলছিল। পুলিশকে হাত করেই এই কারবার চালাচ্ছিল বলে স্থানীয়দের দাবি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কারখানায় ২৬ জন কাজ কারছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বাজি কারখানাটিতে বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, আশপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতেই স্থানীয়রা তাঁদের কাছে ক্ষোভপ্রকাশ করতে থাকেন। ঘিরে ধরে চলতে থাকে স্লোগান। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। পরে, বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। গত ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পাঁচ দিনের মাথায়, ২১ মে রবিবার কলকাতার অদূরে বজবজের একটি বাড়িতে বাজি বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। পর পর দু'জায়গায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, সেই ঘটনার চার মাস কাটতে না কাটতেই আবারও বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বাংলা। এ বারও কাঠগড়ায় সেই বেআইনি বাজি কারখানা। এর ফলে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, আমরা এদিন সকালে একটি দোকানে বসেছিলাম। বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে (Bomb Blast) ওঠে। আশপাশের কয়েকটি পাকা বাড়ি ভেঙে যায়। পাশের টালির চাল উড়ে যায়। আমাদের দোতলা বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা যে দোকানে বসেছিলাম সেই দোকানও ভেঙে গিয়েছে। আমাদের গায়ে ইঁট পড়েছে।

বিস্ফোরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শুভেন্দু নস্কর বলেন, আইএসএফ সদস্য জয়ী হয়েছে। আইএসএফের নেতা মদতেই এই কারবার চলত। এসব আমাদের অজানা ছিল। মুর্শিদাবাদের সব শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও মদত নেই। যদিও আইএসএফ নেতৃত্ব বলেন, এই ঘটনার জন্য তৃণমূল দায়ী।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পে

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles