মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনাঝুরির হাট (Sonajhuri Haat) কি উঠে যাবে? শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) ব্যবসায়ীদের কপালে যেন চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমি বেআইনি দখল মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কলকাতা সহ জেলায় জেলায় চলছে অবৈধ উচ্ছেদের কাজ। পুরসভা এবং পুলিশ বেশ সক্রিয়। এই তালিকায় বাদ যায়নি বীরভূমের বোলপুর। শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটের ছয়টি বাড়ি এবং রিসর্ট মালিককে নোটিস দিয়েছে বনদফতর। এই বাড়ি এবং রিসর্ট মালিকদের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। যদি উপযুক্ত কাগজ না দেখাতে পারে, তাহলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বনদফতরের জমি দখল করে বাড়ি-রিসোর্ট (Sonajhuri Haat)!
বনদফতরের রেঞ্জার জ্যোতিষ বর্মণ বলেছেন, “সোনাঝুরি হাট (Sonajhuri Haat) কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠানো হবে। দরকার হলে হাট এখান থেকে তুলে নেওয়া হবে। কারণ বনদফতরের জায়গায় ওই হাট বসানো হয়েছে। আমরা সার্ভে করেছি, বেশকিছু বাড়ি আমাদের বনবিভাগের জমির মধ্যে পড়েছে। এই জন্য আমরা আগাম নোটিশ পাঠালাম। তবে তাঁদের সপক্ষে নোটিশ থাকলে আমরা দেখব। তবে হাটের বিষয়ে এখনও নোটিশ আসেনি। অনেক দিন ধরে হাট বসছে, মৌখিক ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। অর্ডার এলে আমরা জানিয়ে দেব।”
আরও পড়ুনঃ সরকারি দফতরে বিডিও-কে আইবুড়ো ভাত খাওয়ালেন তৃণমূল নেত্রী! শোরগোল
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য
এদিকে বনদফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে, বাড়ি এবং রিসর্টের মালিকরা (Sonajhuri Haat) বলেছেন, “আইনের পথেই সব কিছুর সমাধান হবে। যদি জমি বনদফতরের হলে তাহলে আমরা ছেড়ে দেব।” অপর দিকে হাট উঠে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জীবন-জীবিকার সঙ্কটের মধ্যে পড়বেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের দাবি, যদি ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে যেন পুনর্বাসন দেওয়া হয়। আবার হাটের দায়িত্বে থাকা তন্ময় মিত্র বলেছেন, “আমরা নোটিশ যদিও পাইনি, কয়েকটি হোটেল এবং রিসর্ট (Santiniketan) মালিকদের দেওয়া হয়েছে। তবে নোটিশ দিলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থার দাবি করব।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours