Shreyas Iyer: চোট না সারিয়েই কলকাতার শিবিরে শ্রেয়স! টেস্ট খেললেন না ঈশান, ক্ষুব্ধ প্রধান নির্বাচক
শ্রেয়স আইয়ার ও ঈশান কিষাণ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিসিআই-এর বার্ষিক চুক্তি প্রকাশিত হয়েছিল। বোর্ডের চুক্তি থেকে বাদ পড়েছিলেন। ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan) ও শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। রঞ্জি ট্রফিতে না খেলার শাস্তিস্বরূপ এই দুই অবাধ্য ক্রিকেটারকে বোর্ড বার্ষিক চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করেনি। এই কথা শোনা গেলেও এর পিছনে রয়েছে আরও নানা কারণ। এমনই গুঞ্জন ভারতীয় ক্রিকেট মহলে।
ইংল্যান্ড সিরিজ চলাকালীন বোর্ডের পক্ষ থেকে টেস্ট (Test) খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ঈশান কিষাণকে। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন দেশের তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটার। কেএস ভরত প্রথম দুই টেস্টে উইকেটকিপিংয়ে সে ভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি বলে ঈশানের (Ishan Kishan) খোঁজ করেছিল বোর্ড। কিন্তু তিনি টেস্ট খেলতে রাজি না হওয়ায় তরুণ উইকেটকিপার ধ্রুব জুরেলকে সুযোগ দেন রোহিত শর্মা ও ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সুযোগ পেয়েই তা কাজে লাগান ধ্রুব। তাঁর দুরন্ত ইনিংস দলে ঈশানের কামব্যাকের উপরেই প্রশ্ন চিহ্ন ঝুলিয়ে দিয়েছে।
Ishan Kishan refused BCCI's offer to play the ongoing Test series against England when the Team management & Board got in touch with him. (ESPNcricinfo) pic.twitter.com/axl2CgDuNz
— CricketMAN2 (@ImTanujSingh) March 2, 2024
ঈশানের মতোই আলোচনার কেন্দ্রে শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। জানা গিয়েছে, চোট পুরোপুরি সারানোর আগেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের শিবিরে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন শ্রেয়স। তাতেই তাঁর উপরে রেগে গিয়েছেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগারকর। দ্বিতীয় টেস্টের পর শ্রেয়স দল পরিচালন সমিতিকে জানান, দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে ব্যাট করলে তাঁর পিঠে ব্যথা হয়েই চলেছে। তিনি চোট সারাতে চান। ফলে তাঁকে বাকি তিন টেস্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়। এমন সময় মুম্বইয়ের প্রধান নির্বাচক রাজু কুলকার্নিকে ফোন করে রঞ্জিতে না খেলার ব্যাপারে জানিয়ে দেন। তবে চোট সারাতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে না গিয়ে মুম্বইয়ে কেকেআরের অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন শ্রেয়স। সেখানে কেকেআরের কোচেদের অধীনে অনুশীলন করেন। জানতে পেরে শ্রেয়সের উপরে রেগে যান আগারকর। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নির্বাচকদের মতই প্রাধান্য পায়। সেখানে শ্রেয়সকে রাখতে বারণ করেন তিনি। কেকেআর সূত্রে খবর, নিজের ওয়ার্কলোড সামলাতেই গিয়েছিলেন শ্রেয়স। প্রথমে ৬০ বল খেলার পরেই পিঠে ব্যথা হচ্ছিল শ্রেয়সের। এখন প্রত্যেক সেশনে ২০০টা বল খেলছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে পেশির ওজন তিন কিলো বেড়েছে। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা এবং দলের প্রধান কোচকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। মুম্বই কোচ নিজেও একাধিক বার কেকেআর অ্যাকাডেমিতে এসে শ্রেয়সের চোট পর্যবেক্ষণ করেছেন। তার পরেই শ্রেয়স রঞ্জি সেমিফাইনালে খেলার সিদ্ধান্ত নেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।