দেশে ফিরে প্রথমে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে যান অচিন্ত্য। আর্মির হাবিলদার অচিন্ত্যকে সেখানে ধুমধাম করে স্বাগত জানায় ভারতীয় সেনা। জাতীয় পতাকা ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানে পথঘাট মুখরিত হয়।
বাংলার সোনার ছেলে অচিন্ত্য শিউলি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে ফিরেছেন সোনার ছেলে। তাঁর জন্য কড়াইশুটির কচুরি আর চানা মশালা তৈরি করে রেখেছেন মা। সঙ্গে রয়েছে দই, মিষ্টি। কমনওয়েলথ গেমসে বাংলা তথা ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন অচিন্ত্য শিউলি। গেমসে ৭৩ কিলোগ্রাম ভারোত্তলন বিভাগে সোনার পদক জয় করেছেন হাওড়ার ছেলে ২০ বছর বয়সি অচিন্ত্য। সোমবার রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। সোনার ছেলে বাড়ি ফিরতেই উল্লাসের বন্যা বয়ে যায় এলাকায়৷ উৎসাহী মানুষের ভিড় ঠেলে কোনও রকমে তাঁকে বাড়ির দরজা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়৷ তাঁর মা তাঁকে বরণ করে নেন।
আরও পড়ুন: 'স্বর্ণ'-কমল! ভারতের কিংবদন্তী টেবিল টেনিস তারকার ঝুলিতে চারটি পদক
প্রসঙ্গত, চলতি কমনওয়েলথ গেমসে স্ন্যাচ বিভাগে ১৪৩ কেজি ওজন তুলেছিলেন অচিন্ত্য। পাশাপাশি ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে তিনি ১৭০ কিলোগ্রাম ওজন তুলে দেশের হয়ে এক নয়া ইতিহাস তৈরি করেছেন। মোট ৩১৩ কেজি ওজন তুলেছিলেন তিনি। তাঁর মা পূর্ণিমা শিউলি জানান, ছেলের জন্য তিনি গর্বিত। অচিন্ত্য শুধু তাঁর ছেলে নয় দেশের প্রতিটি মায়ের সন্তান অচিন্ত্য। সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে ছিল সাজো সাজো রব৷ শেষপর্যন্ত রাতে বাড়ি আসেন অচিন্ত্য। তাঁকে স্বাগত জানাতে উৎসাহী মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো৷ অচিন্ত্য গাড়ি থেকে নামতেই এলাকার মানুষ ঘরের ছেলেকে একবার দেখার জন্য উৎসুক হয়ে ওঠেন৷ এরপর বাড়ির দরজায় তাঁকে বরণ করে নেন তাঁর মা৷ তারপরই ছাদে উঠে নিচে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষারত এলাকার মানুষজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন তিনি৷
আরও পড়ুন: জরিশিল্পীর কমনওয়েলথ সোনা উৎসর্গ দাদা ও কোচকে
দেশে ফিরে প্রথমে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে যান অচিন্ত্য। আর্মির হাবিলদার অচিন্ত্যকে সেখানে ধুমধাম করে স্বাগত জানায় ভারতীয় সেনা। অচিন্ত্যকে নিয়ে বের হয় বাইক র্যালি। জাতীয় পতাকা ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানে পথঘাট মুখরিত হয়। র্যালি দেখে সাধারণ মানুষও নিজেদের আটকাতে পারেননি। তাঁরাও স্লোগান দিতে থাকেন। বাইকে সেনা জওয়ানদের শোভাযাত্রা দেখতে পথের দুপাশে লোক দাঁড়িয়ে যায়। অচিন্ত্যকে আনতে বিমানবন্দর থেকে সেনা জওয়ানরা বাইক র্যালি করেন। ফুল, মালায় সোনার ছেলেকে বরণ করে নেন সেনা অফিসাররা। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের টেকনিক্যাল ট্রেনিং রেজিমেন্টে অচিন্ত্যকে গ্র্যান্ড ওয়েলকাম জানান সেনা অফিসাররা। গলায় পরিয়ে দেওয়া হয় মালা। অচিন্ত্য এখানেই হাবিলদার পদে কর্মরত। বার্মিংহ্যাম জয় করে ফেরা অচিন্ত্যর জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় র্যালি বের করা হয়।