ম্যাচের আগে ইনস্টাগ্রামে তাঁর ৩০ হাজার ‘ফলোয়ার’ ছিল। ম্যাচের পর তা ৫০ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, সর্বত্র তিনি এখন ভাইরাল।
গ্যালারিতে আরতি বেদি
IPL:বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে (addvertisement) অভিনয় করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। নামী ব্যাঙ্কই হোক বা পারফিউম, মিল্ক প্রোডাক্ট বা ক্যাব সবেতেই মুখ দেখিয়ে ফেলেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে (Instagram)খুবই সক্রিয় তিনি। তবে এতদিন পর্যন্ত তাঁর জনপ্রিয়তার পারদ চড়েনি। কেকেআরের(KKR)হয়ে গলা ফাটাতেই এক রাতের মধ্যে বদলে গিয়েছে চিত্র। এখন অনেকেরই হার্ট থ্রব অভিনেত্রী আরতি বেদী (Arati bedi)।
রবিবার আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স (kolkata knight riders) বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের(delhi capitals)ম্যাচে ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ওই তরুণীকে দেখা যায়। সাদা রংয়ের টপ পরে থাকা ওই সমর্থককে বার বার দেখাতে থাকে ক্যামেরা। শ্রেয়সদের হয়ে বারবার গলা ফাটাতে দেখা যায় তাঁকে। ম্যাচে তাঁর দল কলকাতা হেরে গেলেও ওই সমর্থক সকলের মন জয় করে নিয়েছেন। এক রাতের মধ্যে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। ম্যাচের আগে ইনস্টাগ্রামে তাঁর ৩০ হাজার ‘ফলোয়ার’ছিল। ম্যাচের পর তা ৫০ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, সর্বত্র তিনি এখন ভাইরাল। অনেকেই এই তরুণীর নাম জানতে চাইছেন। আরতি পেশায় মডেল। অভিনয় ছাড়া নাচতে খুব ভালবাসেন। ইনস্টাগ্রামে(Instagram)তাঁর নাচের প্রচুর ভিডিও রয়েছে।
ঘুরে বেড়ানো আরতির শখ। বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার ছবিও তিনি নিয়মিত ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে থাকেন। ইতিমধ্যেই লন্ডন, তাইল্যান্ড, ফ্রান্স, ইটালি, স্পেন ঘুরে ফেলেছেন তিনি। অক্সফোর্ড স্ট্রিট, আইফেল টাওয়ার, ফি আইল্যান্ড, লুম্পিনি পার্কে ঘোরার ছবিও দিয়েছেন। তাঁর একটি পোষ্য বিড়াল রয়েছে। নাম ফাজ। পশুপ্রেমী আরতির কাছে ‘পরিবারের সবচেয়ে সুন্দর সদস্য’হল ফাজ। গরমের দিনে আইসক্রিম তাঁর পছন্দের জিনিস। কয়েক বছর আগে ইটালির জেলাতেরিয়া সান্তা ত্রিনিতা নামে বিখ্যাত আইসক্রিমের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছিলেন আরতি।
এর আগেও আইপিএলে বিভিন্ন সময়ে নজর কেড়েছেন বিভিন্ন সমর্থক। গ্যালারিতে প্রিয় দলকে সমর্থন করার ফাঁকেই তাঁদের ধরেছে ক্যামেরা। রাতারাতি টিভির পর্দায় মুখ দেখিয়ে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন অনেকে। অনেকেরই মনে আছে দীপিকা ঘোষের কথা। হায়দরাবাদ ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে সমর্থন করতে আসা দীপিকার উপর থেকে ক্যামেরা সরছিলই না। হঠাৎই তিনি ‘জাতীয় ক্রাশ’হয়ে যান। চেন্নাইয়ের জোরে বোলার দীপক চাহারের বোন মালতি এ ভাবেই দলকে সমর্থন করতে এসে বিখ্যাত হন। হায়দরাবাদের সিইও কাব্য মরানের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আরতি নয়া সংযোজন।
Tags: