এই নিয়ে মোট চার বার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নিল ব্রাজিল
কান্নায় ভেঙে পড়লেন নেইমার।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপে ইন্দ্রপতন। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা পাকা করল ক্রোয়েশিয়া। স্বপ্নভঙ্গ নেইমারদের(Neymer)। স্বপ্নভঙ্গ অসংখ্য ফুটবলপ্রেমীর। কলকাতার অনেক ঘরেই আর রাত জাগবে না ব্রাজিল ভক্তেরা। হতাশার স্বস্তি। তাঁদের কাছে বিশ্বকাপ যেন শেষ। এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার ছিল ব্রাজিল। সবাই তাঁদের এগিয়ে রাখছিল। কিন্তু মুহূর্তের অসাবধানতায় সব হারাল ব্রাজিল। পেনাল্টি শ্যুটআউটে ২-৪ ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল সেলেকাওরা।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিদায় যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০২ সালে শেষ বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে এই নিয়ে মোট চার বার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নিল ব্রাজিল। প্রতি বারই ইউরোপের কোনও দলের কাছে হেরেছে তারা। ২০০৬ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে, ২০১০ নেদারল্যান্ডসের কাছে, ২০১৮ সালে বেলজিয়ামের কাছে, ২০২২ সালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিল ব্রাজিল।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে কোনও গোল হয়নি। অতিরিক্ত সময়ে ব্রাজিলের নেইমার গোল করলেও শেষ দিকে সমতা ফেরান ব্রুনো পেটকোভিচ। টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার ডোমিনিক লিভাকোভিচ বাঁচিয়ে দেন রড্রিগোর শট। চতুর্থ শটে মার্কুইনোস পোস্টে মারেন। ক্রোয়েশিয়া চারটিতেই গোল করেছে।
আরও পড়ুন: কোচের পদ ছাড়লেন তিতে! ব্রাজিলের হয়ে আর কি মাঠে দেখা যাবে না নেইমারকে?
প্রথম থেকে ব্রাজিলকে চাপে রাখার চেষ্টা করতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। ব্রাজিলকে খেলার জন্য একটুও খোলা জায়গা দিচ্ছিল না তারা। বলের নিয়ন্ত্রণ বেশি ছিল ক্রোয়েশিয়ার পায়ে। অপেক্ষার মুহূর্ত শেষ হয় ১০৫ মিনিটে। নেইমারের অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। মাঝমাঠ থেকে মুভ শুরু করেছিলেন নেইমারই। প্রথমে পাস খেলেন পেড্রোর সঙ্গে। সেখান থেকে নেইমার বল পায়ে দেন পাকুয়েতাকে। পাকুয়েতার থেকে পাস পেয়ে গোলকিপার লিভাকোভিচকে এক টোকায় কাটিয়ে বল জালে জড়ান নেইমার। ব্রাজিলের জার্সিতে এই নিয়ে ৭৭ গোল করলেন নেইমার। ছুঁলেন পেলেকে। এতদিন পেলে ছিলেন ব্রাজিলের সর্বাধিক গোলদাতা। এবার তাঁর সঙ্গে নেইমারের নামও যুক্ত হল।
ব্রাজিল ভেবেছিল তাঁরা সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছে। মুহূর্তের অসাবধানতায় গোল খেয়ে বসে তাঁরা। ১১৭ মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণে আসে ক্রোয়েশিয়া। সেখান থেকে পেরিসিচের পাসে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন ব্রুনো পেটকোভিচ। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। জাপানের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে তিনি হয়ে উঠেছিলেন দলের ত্রাতা। তিনটি শট বাঁচিয়ে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছিলেন ডমিনিক লিভাকোভিচ। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে আরও এক বার পাহাড় হয়ে দাঁড়ালেন ক্রোয়েশিয়ার ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার গোলরক্ষক। ১২০ মিনিটের খেলায় তাঁকে এক বারই মাত্র পরাস্ত করতে পারলেন নেইমাররা। লিভাকোভিচের হাত ধরে এই নিয়ে পরপর ২ বার বিশ্বকাপের সেমিতে পৌঁছল ক্রোয়েশিয়া।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।