India vs Qatar: 'ইচ্ছে করে হারানো হল ভারতকে'! কাতার ম্যাচে নিম্নমানের রেফারিং নিয়ে ক্ষুব্ধ ফুটবল মহল...
ভারত-কাতার ম্যাচে বিতর্কিত মুহূর্ত।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের (FIFA World Cup Qualifier) মরণ-বাঁচন ম্যাচ জানত ভারত। শুরু থেকেই তাই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ব্লু-টাইগার্সরা। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ হল না। ধারে ভারে এগিয়ে থেকেও কাতার মাঠে 'ডাকাতি' করল বলা যায়। আর তাতে সায় দিলেন রেফারি। মাঠের বাইরে যাওয়া বলকে ফের টেনে এনে গোল করে নিজেদের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকা ভারতের বিপক্ষে জিততে হল কাতারকে (India vs Qatar)। যা বহুদিন মনে রাখবে ফুটবল দুনিয়া।
ডু অর ডাই ম্যাচে (FIFA World Cup Qualifier) শুরুটা ভালই করেছিল ভারত। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে ছাংতে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এরপর ৭২ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল ভারত। একটা সময় যখন মনে হয়েছিল ভারত জিততে চলেছে সেই সময় ৭৩ মিনিটে গোল পায় কাতার। যেটা নিয়ে বিতর্ক স্পষ্ট। গোলের পর কাতারের (India vs Qatar) ফুটবলারদের দেখে পরিষ্কার বোঝা যায় তাঁরাও ভাবেননি এটি গোল দেওয়া হবে। কিন্তু রেফারি কিম উয়ো সাং সবাইকে অবাক করে দিয়ে গোল দিয়ে দেন। দুই লাইন্সম্যান কাং ডং হো এবং চিয়ন জিন হি-ও কার্যত চোখ বুজে থাকেন। অবাক ভারতীয় ফুটবলাররা মাঠেই প্রতিবাদ জানান। কোনও লাভ হয়নি।
Linesman has had an absolute howler here BUT the ball is not dead until the whistle blows and the whistle did not blow! #QATIND pic.twitter.com/oIO6sIp7Kq
— Joe Morrison (@joefooty) June 11, 2024
মঙ্গলবার ম্যাচে (FIFA World Cup Qualifier) প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল ভারত। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে সমতা ফেরানোর জন্য আক্রমণের ঝাঁঝ বৃদ্ধি করেন কাতারের ফুটবলারেরা। ভারতীয় দলের রক্ষণের ফুটবলারেরা অবশ্য সতর্ক ছিলেন। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে প্রথমে ফ্রি-কিক পায় কাতার। শটটা সোজা কাতারের এক প্লেয়ারের কাছে যায়। তিনি চলতি বলে হেড দেন, বলটা যায় গুরপ্রীতের কাছে। গুরপ্রীত বলটাকে আটকাতে পারেননি। বলটা তাঁর পায়ে লেগে মাঠের বাইরে যায়। সেই সময় কাতারের ডিফেন্ডার হাসমি আল হুসেন বলটা মাঠের বাইরে থেকে টেনে নিয়ে আসেন। এরপর তাঁর পা থেকে বলটা নেন ইউসেফ আইমেন। আর তিনি বলটা গোলে ঠেলে দেন। এতেই শুরু হয় বিতর্ক। বলটা যখন গুরপ্রীতের কাছ থেকে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যায় সেই সময় ভারতীয় প্লেয়াররা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কারণ বলটা মাঠের বাইরে ছিল। এটার সুযোগ নিয়ে কাতার গোল করে দেয়। আর রেফারি সেটাকে বৈধ গোল বলে কাতারের পক্ষে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।
#IndianFootball #QATIND
— Vinayakk (@vinayakkm) June 11, 2024
Shocker of a decision there. The ball has been pulled back from beyond the byline, and Qatar tap it in.
Exhibit A for what a VAR-less world would look like. An absolute blunder stands. pic.twitter.com/mZBkuzK0tI
মাঠেই রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিবাদ জানায় ভারত। ভারতীয় প্লেয়ারদের দাবি ছিল বলটা গুরপ্রীতের কাছ থেকে মাঠের বাইরে চলে যায়। আর বল একবার মাঠের বাইরে যাওয়া মানে সেটা ডেড বল। সেটা হয় গোল কিক, নয়তো কর্নার কিক করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে বলটা মাঠের বাইরে গেলেও সেটাকে কাতারের প্লেয়ার টেনে এনে গোল করেন। যা আইনের মধ্যে পড়ে না। এর পরেও রেফারির ভুল শেষ হয়নি। রাহুল ভেকেকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। কিন্তু ভারতীয় দলের এই সেন্টার ব্যাক ট্যাকলই করেননি। ভারতের একটি পেনাল্টির আবেদনও নাকচ করে দেওয়া হয়। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সরকারি ভাবে এদিনের ম্যাচে রেফারিং নিয়ে প্রতিবাদ জানাবে।
India just got robbed in a WC qualifier.
— Hemant Batra (@hemantbatra0) June 11, 2024
A decision that could change indian Football
All Thanks to Profesional Cheaters Qatar. 🇶🇦#QATIND #IndianFootball #Fifa pic.twitter.com/3W3YzlAYAH
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচেও যদি ‘ভার’ প্রযুক্তি না থাকে, তা হলে আর কোন ম্যাচে থাকবে? কেউ কেউ বলছেন রেফারির সিদ্ধান্ত হাস্যকর। কেউ বলছেন, এটা চুরি। আবার কেউ বলছেন এটা লুট, ডাকাতি। কেউ কেউ গত বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারকে দোষ দিচ্ছেন। অনেকে বলছেন, ইচ্ছা করেই এটা করা হয়েছে। কারণ, এই ম্যাচ জিতলে ভারত বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের পরের রাউন্ডে চলে যেত।
এই ঘটনার পর আর সে ভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি ভারত। ৮৫ মিনিটে কাতারের (India vs Qatar) পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন আর রাউই। বক্সের মধ্যে প্রায় ফাঁকায় বল পান তিনি। গুরপ্রীত দলের পতন আটকাতে পারেননি। সংযুক্ত সময় সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল ভারত। কিন্তু সফল হননি সাহাল। আসলে মনটাই ভেঙে গিয়েছিল গুরপ্রীতদের। শেষ পর্যন্ত ২-১ এ ম্যাচ হেরে এবারের মতো বিশ্বকাপে (FIFA World Cup Qualifier) খেলার স্বপ্নও শেষ হয়ে যায় ভারতের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।