FIFA World Cup: ম্যাচ ঘিরে খাবার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাগযুদ্ধে জড়ালেন দু'দলের সমর্থকরা।
ইংল্যান্ড বনাম ফ্রান্স
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিফা বিশ্বকাপের (FIFA World Cup) কোয়ার্টার ফাইনালে আজ মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। ম্যাচ নিয়ে বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। মনে করা হচ্ছে, ম্যাচ নয়, ফরাসিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামছেন ইংরেজরা। এই ম্যাচ নিয়ে দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে অনেক আশা রয়েছে, তবে রহিম স্টার্লিং এবং কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। কিন্তু জানা গিয়েছে, শেষপর্যন্ত শেষ আটে ফুল ফিট স্কোয়াড পাচ্ছে দু-দলই। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ বারের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ম্যাচ হতে চলেছে ইংল্যান্ড বনাম ফ্রান্স। ফলে ম্যাচ দেখার জন্য টিকিটের চাহিদাও তুঙ্গে।
সূত্রের খবর, রহিম স্টার্লিং ব্যক্তিগত সমস্যায় বিশ্বকাপের মাঝেই দেশে ফিরেছিলেন। অন্যদিকে এমবাপেকেও অনুশীলনে দেখা যায়নি। ফলে এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে পরে রহিম কাতারে ফিরে দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন। তেমনই মাঝে এমবাপে অনুশীলন না করায় ফরাসি শিবিরে তাঁকে নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। কিন্তু এখন অবশ্য পরিস্থিতি পরিস্কার (FIFA World Cup)।
আজকের অন্যতম সেরা ম্যাচের (FIFA World Cup) প্রত্যক্ষদর্শী সবাই হতে চায়। ফলে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে টিকিটের চাহিদাও। আর এখন টিকিটের দাম হয়ে গিয়েছে আকাশছোঁয়া। দু’দলের সমর্থকরাই টিকিট পেতে চান। এদিকে টিকিটের সংখ্যা নির্দিষ্ট। অথচ চাহিদা বেড়েই চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দামও। বাড়তে বাড়তে কালোবাজারে এক জোড়া টিকিটের দাম হয়েছে আসল দামের ২৮ গুণ বেশি। ইংল্যান্ড-ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের সব থেকে কম মূল্যের এক জোড়া টিকিটের দাম ১৭৫ পাউন্ড বা ১৭ হাজার ৬০০ টাকা। সেই টিকিটই কাতারে বিকোচ্ছে ৫ হাজার পাউন্ড বা ৫ লাখ টাকারও বেশি দিয়ে। এককথায় প্রায় নিলাম চলছে বিশ্বকাপের এই ম্যাচের টিকিট নিয়ে। কিন্তু চড়া দামে বিক্রি হলেও ইংরেজরা ম্যাচ দেখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
জানা গিয়েছে, টিকিটের চাহিদা বেশি ইংল্যান্ডের সমর্থকদের মধ্যে। শনিবার আল বায়েত স্টেডিয়ামে হ্যারি কেনদের সমর্থন করতে সাড়ে ন’হাজার ইংরেজ উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ম্যাচ নিয়ে ইংরেজ সমর্থকরা বর্তমানে যুদ্ধের মেজাজে রয়েছেন ও ফরাসিদের ‘শত্রু’ মনে করছেন (FIFA World Cup)। তাঁদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, ফরাসিদের প্রিয় খাবারও মুখে তুলছেন না ইংরেজরা। আপাতত ফরাসিদের ফ্রেঞ্চ ব্রেড ও ক্রসেন্ট খাচ্ছেন না তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’দেশের সমর্থকদের শুরু হয়ে গিয়েছে বাগযুদ্ধ। ইংল্যান্ডের এক জন ফুটবলপ্রেমী লিখেছেন, ‘‘আপাতত আমরা ক্রসেন্ট বয়কট করছি।’’ পাল্টা ফ্রান্সের এক ফুটবলপ্রেমী লিখেছেন, ‘‘আগামী শনিবারের মধ্যে কোনও ইংরেজ আমাদের দেশের ব্রেড খেতে গিয়ে ধরা পড়লে তাকে জেলে পাঠানো হবে।”