BCCI: ভারতে নিরাপত্তা জনিত সমস্যা নেই, কোনও ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব ছাড়বে না বিসিসিআই...
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জট অব্যাহত। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে আইসিসি (ICC) ইভেন্টের জন্য পিসিবির হাইব্রিড মডেল মানতে নারাজ বিসিসিআই (BCCI)। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দাবি, পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা থাকলেও, ভারতে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তাই ভারত থেকে কোনও খেলা অন্য কোথাও সরানোর কোনও মানে নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে তাই অচলাবস্থা অব্যাহত। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এর আগে তার অবস্থান বদলেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) হাইব্রিড মডেল মেনে নিয়েছে। কিন্তু, তাদের শর্ত, পিসিবি ভবিষ্যতে ভারতে আয়োজিত আইসিসি টুর্নামেন্টের জন্য একইরকম হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করতে চায়।
বিসিসিআই পাকিস্তানে দল না পাঠানোর প্রধান কারণ হিসেবে জানিয়েছে, নিরাপত্তাই প্রধান সমস্যা। গত মাসে, ভারত সরকার দৃষ্টিহীনদের টি২০ বিশ্বকাপেও নিরাপত্তার কারণে দলকে পাকিস্তান যেতে দেয়নি। বিসিসিআইয়ের যুক্তি হল, ভারতে কোনও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা নেই। তাই ভারতে আয়োজিত কোনও টুর্নামেন্টে হাইব্রিড মডেল গ্রহণের প্রয়োজনও নেই। ভারত আগামী বছর মহিলা একদিনের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে, পাশাপাশি ২০২৬ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে টি-২০ বিশ্বকাপও আয়োজন করবে। ২০২৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) এবং ২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপও ভারতে হবে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান নতুন করে যে দাবি তুলেছে, তা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
পিসিবি (PCB) ও বিসিসিআই (BCCI) দ্বৈরথে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) আয়োজন এখনও দোলাচলে। তবে আইসিসি সূত্রে খবর, হাইব্রিড মডেলেই হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাকিস্তানের শর্ত কতদূর মানা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে ভারতকে ছাড়া টুর্নামেন্ট অসম্ভব। বিসিসিআই-এর দাবিও যুক্তি সঙ্গত। ভারতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় যে কোনও দল ভারতে খেলতে পছন্দ করে। এই আবহে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল তাদের সিরিজ মাঝপথে বাতিল করে দেশে ফিরে যায়। পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতাও চলছে, যা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।