টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দেখা হল না ভারত-পাকিস্তানের! বাবরদের প্রতিপক্ষ ব্রিটিশরা
জয়ের কাণ্ডারী।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ! ভারত-পাকিস্তান মহারণ তো দূর খেলাটা যে সেমি ফাইনাল তাই বোঝা গেল না। আলেক্স হেলস, জস বাটলার, দুজনেই শেষ করে দিলেন ভারতের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। হেভিওয়েট সেমিফাইনালের (T20 World Cup) আগেই শোয়েব আখতার বলে দিয়েছিলেন যে দল রান চেজ করবে, তাঁদের হাতেই জয়ের চাবিকাঠি। সেই ভবিষ্যৎবাণীই যে অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। তবে এরকম লজ্জার হার বোধহয় ভাবতে পারেননি কেউ। হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটিং বিক্রমে ভর করে অ্যাডিলেডের স্লো পিচে ভারত ১৬৮ তুলেছিল কোনওরকমে। স্কোরবোর্ডে এই রান যে যথেষ্ট নয় তা বোঝাই গিয়েছিল। কিন্তু ১০ উইকেটে হার যেন মেনে নিতে পারছেন না কেউই। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড ১৬৯ তুলল কোনও উইকেট না হারিয়েই। চার ওভার বাকি থাকতে। হাতে ১০ উইকেট নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করে ফাইনালে উঠল ব্রিটিশরা।
নক আউট অভিশাপ কাটল না ভারতের। বারবার মরণ বাঁচন ম্যাচে গিয়ে পরাজিত হতে হচ্ছে রোহিত বাহিনীকে। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। বিশ্বকাপের সুপার ১২ পর্যায়ে দুরন্ত খেলার পরেও কেন নক আউট থেকেই বিদায় নিতে হল রোহিতদের। সেমিফাইনাল বা ফাইনাল ট্রফি জয় অধরাই থেকে গেল ভারতের। শেষ ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। তারপর থেকে আর কোনও আইসিসি ট্রফি নেই বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম পাওয়ার হাউসের।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান
ভারতীয় ব্য়াটিং লাইন আপের টপ অর্ডার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পুরোপুরি ব্যর্থ। লোকেশ রাহুল শেষ দুই ম্যাচে রান করেছেন। প্রথম তিন ম্যাচে ব্যর্থ। সেমিফাইনালেও ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি। অধিনায়ক রোহিত শর্মা শুরুটা ভাল করলেও বড় রান এল না তাঁর ব্যাটে। টুর্নামেন্টে একমাত্র নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে রান পেয়েছিলেন তিনি। ইনিংসের শুরু ভাল না হলে মিডল অর্ডারে চাপ বাড়তে বাধ্য। বড় ম্যাচের চাপ নিতে না পেরে ফিরে গেলেন সূর্যক কুমারও। বিরাট কোহলি অ্যাডিলেডে প্রথম বার আউট হলেন। তার আগে অনবদ্য একটা ইনিংস খেলেন। ৪০ বলে ৫০ রানের ইনিংস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৪ হাজার রানের মাইলফলক পেরোলেন বিরাট। ১৫ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১০০। এখান থেকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৮-৬ সম্ভব হল হার্দিক পান্ডিয়ার জন্য। মাত্র ৩৩ বলে ৬৩ রানের ইনিংস হার্দিকের।
অ্যাডিলেডের স্কোয়ার বাউন্ডারি ছোট। বোর্ডে রানও কম। তবু একবার লড়াইয়ের চেষ্টা করা যেত। কিন্তু শুরু থেকেই যেন হেরে গেলেন বোলাররা। ভুবির প্রথম ওভারেই এল ১৩ রান। পুরো টুর্নামেন্টে অক্ষর ব্যর্থ। তবু পাওয়ার প্লে-তে অক্ষর প্যাটেলকে বোলিং করিয়ে গেলেন রোহিত। জস বাটলার-অ্যালেক্স হেলস ওপেনিং জুটিতে পাওয়ার প্লে-তে ৬৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। সেখানেই ম্যাচ হেরে যায় ভারত। বাকিটা শুধু ছিল সময়ের অপেক্ষা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ভারত ১৬৮-৬, ২০ ওভার (হার্দিক পান্ডিয়া ৬৩, বিরাট কোহলি ৫০)। ইংল্যান্ড ১৭০-০, ১৬ ওভার (অ্যালেক্স হেলস ৮৬*, জস বাটলার ৮০*)। ইংল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী।