পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়কের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন বাবর আজম, ওয়াসিম আক্রাম, শোয়েব আখতাররা।
ইমরান খান।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) উপর আততায়ী হামলায় স্তম্ভিত ক্রিকেট দুনিয়া (Cricket World)। বৃহস্পতিবারের ঘটনা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইমরানের সভায় বন্দুক উঁচিয়ে দুই যুবকের দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে অনেকেই শিহরিত ও শঙ্কিত। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ইমরান খানের পায়ে গুলি লেগেছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অনেকেই অধিনায়কের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন জীবন পেলাম! বললেন ইমরান, সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসছে করাচি থেকে পেশোয়ার
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে যখন ইমরানের উপর হামলা হয়, তখন বাবর আজমরা টি-২০ বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলতে ব্যস্ত ছিলেন সিডনিতে। ম্যাচ জেতার পর খবরটা জানতে পারেন পাক অধিনায়ক। পরে বাবর ট্যুইট করেন, ‘ইমরান খানের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আল্লহ যেন দ্রুত সুস্থ করে তোলেন আমাদের ক্যাপ্টেন ইমরান খানকে। নিরাপদে থাকুক দেশ।’ বিরানব্বই সালে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন ওয়াসিম আক্রাম। তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায়। বিশ্বকাপে কমেন্ট্রি করছেন। ঘটনা জানার পর আক্রাম বলেন, ‘ওয়াজিরাবাদে যা ঘটল তা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা। ইমরান ভাই ও তাঁর সঙ্গীদের জন্য প্রার্থনা করছি। দেশের জন্য আমাদের একজোট হতে হবে। দেখতে হবে কোনওভাবেই যেন ঐক্যে ফাটল না ধরে। আমার বিশ্বাস সেটা কেউ নষ্ট করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান! ক্ষুব্ধ ভারত, জানেন তার কারণ?
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপর হামলার ঘটনা টিভি’তে দেখে শিহরিত শোয়েব আখতার। প্রাক্তন পেসারটি বলেছেন, ‘আমি টিভি দেখছিলাম। তখনই খবরটা চোখে পড়ে। প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিল না। আমার কাছে এটা বেশ বড় ধাক্কা। প্রথমে কিছুই বুঝতে পারিনি। পরে দেখলাম ইমরানভাইকে চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তোলা হচ্ছে। শুনলাম পায়ে গুলি লাগলেও ভয়ের কিছু নেই।’ পাকিস্তানের প্রাক্তন লেগ স্পিনার মুস্তাক আহমেদের ট্যুইট হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে ক্রিকেট দুনিয়ার। তিনি লিখেছেন, ‘আল্লাহর কাছে একটাই প্রার্থনা, আমার ক্যাপ্টেনের হাসি মুখটা যেন একই রকম থাকে। তোমার সুস্থতা কামনা করে প্রার্থনা করছি।’