Hindu Mahasabha: গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ টি-২০ ম্যাচ বাতিলের দাবি হিন্দু সংগঠনের…
ভারতের টিম। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিনের সিরিজে হোয়াটওয়াশ হওয়ার পর সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে (India-Bangladesh T20) নামতে চলেছে বাংলাদেশ। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ হবে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। রবিবার ম্যাচের আগে একাধিক বিষয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খেলার মাঠে কোনও রকম প্রতিবাদ করা যাবে না। সামাজিক মাধ্যমে কোনও হিংসাত্মক প্রচার বা পোস্ট করা যাবে না। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ করেছে প্রশাসন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। অপরদিকে, হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে ম্যাচ বাতিলের। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।
রবিবার ভারত বাংলাদেশের (India-Bangladesh T20) মধ্যে ক্রিকেট খেলা হওয়ার কথা থাকলেও এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে আগামী সোমবার পর্যন্ত। কিন্তু হিন্দু মহাসভার (Hindu Mahasabha) পক্ষ থেকে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের দিন বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে গোটা শহরজুড়ে। এমনকী, ওই দিন ম্যাচ বাতিলের দাবিও তোলা হয়েছে। এরপর থেকেই ওই জেলার জেলাশাসক রুচিকা চৌহান, সব রকম নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করেছেন। ১৪ বছর পর এই মাঠে ভারত-বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে বলে জানা গিয়েছে। দর্শকদের পোস্টার, ব্যানার, পতাকা, কাটআউট- সহ একাধিক বিষয়ে আপত্তি জনক কিছু লিখে আনা যাবে না, বলে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য শেষ টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল কানপুরে। সেখানেও কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে রাখা হয়েছিল। এবারের ম্যাচেও সুরক্ষার কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ ২০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ! মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে তলব ইডির
উল্লেখ্য গত ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশে (India-Bangladesh T20) হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে ওই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তাল হয়ে ওঠে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে জামাত শিবির এবং বিএনপির বিরাট ষড়যন্ত্রে দেশের গণভবনে আক্রমণ চালানো হয়। চলে লুটপাট এবং দেশের পুলিশ প্রশাসনের উপর লক্ষ্য করে করা হয় ব্যাপক হামলা। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দেশের অধিকাংশ থানা। সেই সঙ্গে চলে ওই দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ। হিন্দুদের বাড়ি-ঘর লুটপাট, সম্পত্তি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। মঠ, মন্দিরের মূর্তি নির্বিচারে ভাঙা হয়। শারদীয়া দুর্গা পুজো করতে না দেওয়ার ফতোয়া জারি করে উগ্র মুসলমানরা। প্রত্যেক পুজোর জন্য দাবি করা হয় ৫ লাখ টাকা। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র উত্তরায় দুর্গাপুজো করলে হিন্দুদের উপর আক্রমণ করা হবে বলে প্রকাশ্যে মিছিল করে হুমকি দেওয়া হয়। এই অবস্থায় ভারতের একাধিক হিন্দু সংগঠন (Hindu Mahasabha) প্রতিবাদ জানায়। এই আবহে ম্যাচ (India-Bangladesh T20) হলে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।