Tilak Verma: বাবা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, টানাটানির সংসারে ক্রিকেটই স্বপ্ন! আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম শতরান করে রেকর্ড বুকে তিলক...
আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রথম শতরানের পর ঈশ্বরকে স্মরণ তিলক বর্মার। ছবি: ট্যুইটার
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিলকের শতরান ও অর্শদীপের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিপক্ষে শুক্রবার সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে নামবে ভারত। বুধবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম শতরান পেলেন তিলক ভার্মা (Tilak Verma)। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন তরুণ হায়দরাবাদী। তাঁর ব্যাটে ভর করেই এদিন জয়ের তিলক পড়ল সূর্যদের ললাটে। ভারতীয় ক্রিকেটে হায়দরাবাদের ব্যাটারদের আলাদা কদর রয়েছে। মহম্মদ আজহারউদ্দিন, ভিভিএস লক্ষ্ণণদের সেই ধারাই বয়ে নিয়ে চলেছেন তিলক।
A fantastic comeback by the young brigade as they defeated the Proteas to take a lead in the series! A special mention to the two talented youngsters @IamAbhiSharma4 and @TilakV9 for such a fantastic display of ball-striking and @arshdeepsinghh who is beautifully leading the pack… pic.twitter.com/kImvL4gvYi
— Jay Shah (@JayShah) November 14, 2024
একটা সময় ক্রিকেট শিখতে যাওয়ার টাকাও ছিল না তিলক ভার্মার কাছে। বাবা নাম্বুরি নাগারাজু ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। মা গায়ত্রী দেবী গৃহবধূ। টানাটানির সংসারে কষ্ট করে ছেলেকে ক্রিকেটার তৈরি করেছেন তাঁরা। তাঁদের সেই কষ্টের প্রতিদান দিচ্ছে তিলকের ব্যাট। গত কয়েক বছর ধরে দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম সারিতে জায়গা করে নেওয়া তিলকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ২০২৩ সালের ৩ অগাস্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে শুরু। সেই ২০ ওভারের ক্রিকেটেই প্রথম শতরান পেলেন তিলক। বুধবার একটি রেকর্ডও গড়েছেন তিলক। সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসাবে টি-টোয়েন্টির ক্রমতালিকায় প্রথম ১০-এ থাকা কোনও দলের বিরুদ্ধে শতরান করেছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২২ বছর ৫ দিন বয়সে তিনি এই কীর্তি করেছেন। আগে এই রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদের। ২০১৪ সালে ২২ বছর ১২৭ দিন বয়সে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন তিনি। সেই রেকর্ড ভাঙলেন তিলক।
𝘾𝙚𝙣𝙩𝙪𝙧𝙞𝙤𝙣 𝙉𝙞𝙜𝙝𝙩 ✨
— BCCI (@BCCI) November 14, 2024
ft. Tilak Varma #TeamIndia | #SAvIND | @TilakV9
বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরের দিকের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ভারতীয় দলের ইনিংস যত দূর পৌঁছবে বলে মনে হচ্ছিল, তার বেশ কিছুটা আগেই থেমে গেল। শেষ ওভারে উঠল মাত্র ৪ রান। এদিন তিলক ভার্মার শতরান ও অভিষেক শর্মার অর্ধশতরান ছাড়া বড়ই বেহাল ভারতের ব্যাটিং। তিলক ৮টি চার এবং ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেললেন। এ ছাড়া অভিষেকের ২৫ বলে ৫০ রান এবং অতিরিক্ত হিসাবে পাওয়া ১৯ রান বাদ দিলে বাকি ভারতীয় ব্যাটারদের সম্মিলিত অবদান ৪৩। সূর্যকুমারের দলের ব্যাটিং দুর্বলতা ঢেকে দিচ্ছেন বোলারেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা স্পিন বলের বিরুদ্ধে কোনও দিনই তেমন দক্ষ নন। সেটাই কাজে লাগাচ্ছেন সূর্যকুমাররা। এদিন অর্শদীপের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং রবি বিষ্ণোই ও বরুণ চক্রবর্তীর স্পিন আক্রমণই শেষ পর্যন্ত ভারতকে টান টান উত্তেজনার ম্যাচে ১১ রানে জয় এনে দেয়। ভারতীয় দলের ইনিংস শেষ হওয়ার পর তিলক বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তটার জন্য দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করেছি। চোট সারিয়ে ফেরার পর শতরান করতে পেরে দারুণ লাগছে। শুরুতে পিচ একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল। পিচে দু’রকম গতি ছিল। পরে অবশ্য কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছে। বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করিনি। লক্ষ্যে স্থির থাকার চেষ্টা করেছি। আমি এবং অভিষেক শর্মা দু’জনেই চাপে ছিলাম একটা সময় পর্যন্ত। অভিষেকও খুব ভাল ব্যাট করেছে। আমার চাপ কমিয়ে দিয়েছে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।