১৯৫৬ মেলবোর্ন অলিম্পিকে ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ঘোষিত হন তিনি। দেশের হয়ে জিতেছেন কলম্বো কাপ-ও।
বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় একমাস অসুস্থ ছিলেন। এসএসকেএম-এ চিকিৎসা চলছিল। তবে সুস্থ হয়ে আর ফেরা হল না কিংবদন্তি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রয়াত হলেন প্রাক্তন অলিম্পিয়ান সমর বন্দ্যোপাধ্যায়। ময়দানে যিনি বদ্রু নামেই পরিচিত ছিলেন। শুক্রবার রাত ২টো ১০ মিনিটে এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি। ফুটবলারের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
স্বাস্থ্যের ক্রমশ অবনতি হওয়ার জন্য গত ২৭ জুলাই বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বদ্রু। অ্যালঝাইমার্স, উচ্চ রক্তচাপ এবং অ্যাজোটেমিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গত কয়েক দিনে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছিল। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে।
Our Sincere Condolence on the Demise of Former Indian Football Captain, Our Mohun Bagan Ratna Samar "Badru" Banerjee.#SamarBanerjee pic.twitter.com/1TxGzavp2q
— Mohun Bagan (@Mohun_Bagan) August 20, 2022
হাওড়ার বালিতে জন্ম। সেখানেই ফুটবলের প্রাথমিক পাঠ। ফুটবলে হাতেখড়ি বালি হিন্দু স্পোর্টিং ক্লাব এবং বালি ওয়েলিংটন ক্লাবে। ১৯৪৮-এ বালি প্রতিভা স্পোর্টিং ক্লাব কলকাতা ফুটবল লিগের তৃতীয় ডিভিশনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এরপর বিএনআর হয়ে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে তোলেন কিংবদন্তী এই ফুটবলার। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত সাত বছর মোহনবাগান ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন বদ্রু। মোহনবাগানের হয়ে ট্রফির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। ডুরান্ড কাপ জিতেছেন ১৯৫৩-এ। কলকাতা ফুটবল লিগ জিতেছেন চারবার (১৯৫৪, ১৯৫৫, ১৯৫৬, ১৯৫৯)। তার নামের পাশে আইএফএ শিল্ড তিনবার (১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৫৬)। রোভার্স কাপ জিতেছেন ১৯৫৬-এ।
আরও পড়ুন: বাইশ গজকে বাই বাই! লর্ডসেই কি শেষ ম্যাচ ঝুলনের?
১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। ১৯৫৬ মেলবোর্ন অলিম্পিকে ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ঘোষিত হন তিনি। দেশের হয়ে জিতেছেন কলম্বো কাপ-ও। বদ্রুর প্রয়াণে ক্রীড়ামহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাঁর প্রয়াণে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোক জ্ঞাপন করা হয়েছে মোহনবাগান ক্লাবের তরফেও।