Shoaib: যেন-তেন-প্রকারে সচিনের ব্যাট সেই মুহূর্তে থামাতে চেয়েছিলেন তিনি।
সচিন-শোয়েব দ্বৈরথ। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইশ গজে সচিন-শোয়েব 'শত্রুতা' বিশ্বক্রিকেটে একসময় অন্যতম 'হটকেক' ছিল। খেলার মাঠে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বৈরথের সূত্রপাত হয় ইডেন গার্ডেন্স থেকে। তারপর তা দীর্ঘায়িত হয় প্রায় একযুগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লড়াইয়ে শেষ হাসিটি হেসেছেন 'মাস্টার ব্লাস্টার', (Sachin Tendulkar)।
কিন্তু তাঁকে কুপোকাৎ করার কোনও সুযোগ ছাড়েননি 'রাউলপিণ্ডি এক্সপ্রেস' ওরফে শোয়েব আখতার (Shoaib Akhtar)। এমনকি একবার নাকি জেনেবুঝে শারীরিক আঘাতও করতে চেয়েছিলেন সচিনকে। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে প্রাক্তন পাক-পেসার।
আরও পড়ুন: নিজের স্বপ্নের একাদশ খোলসা করলেন শচীন, কারা রয়েছেন সেই দলে?
২০০৬ সালের ভারতের পাকিস্তান সফরের ঘটনা। শোয়েব এক সাক্ষাৎকারে জানান, "আমি বিষয়টা পরিষ্কার করে জানাতে চাই। ২০০৬ সালে করাচি টেস্টে আমি সচিনকে ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করতে চেয়েছিলাম। যেভাবেই হোক সেই টেস্টে আমি সচিনকে আহত করতে বদ্ধপরিকর ছিলাম। ইনজামাম বারবার উইকেট বরাবর বল করতে বলছিল। কিন্তু আমার লক্ষ্য ছিল সচিনকে হিট করা। একবার আমার বল ওর হেলমেটে লাগে। ভেবেছিলাম বোধহয় মারা যাবে। কিন্তু পরে যখন ভিডিও দেখলাম, তখন দেখি সচিন নিজের মাথা বাঁচিয়ে নিয়েছে। এরপরও আমি ওকে আঘাত করার চেষ্টা করি। অন্যদিকে আসিফের বলে ব্যাট করতেও হিমশিম খাচ্ছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। আসিফ দারুণ বল করেছিল।'
সিরিজটি হাতছাড়া হয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের। তৃতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ২৩ রানে আউট হন সচিন। এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ রান করেন তিনি। এই টেস্টেই হ্যাটট্রিক করেন ইরফান পাঠান। প্রথম ইনিংসে চারটি ও দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি উইকেট নিয়ে আসিফ বেশ চাপে ফেলেছিলেন ভারতীয় দলকে। ৩৪১ রানের ব্যবধানে জয়ী হয় পাকিস্তান। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় ভারত।
আরও পড়ুন: বলিউডে পা রাখছেন সচিন-কন্যা সারা, জল্পনা বি-টাউনে
এর আগে আসিফ একটি সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন যে, "করাচি টেস্টে (Karachi Test) শোয়েবের বলের মুখোমুখি হতে অনেক সময়ই নিজের চোখ বন্ধ করে নিচ্ছিলেন সচিন। এক্সপ্রেসের গতিতে বল করছিলেন শোয়েব।"
কেন এমন হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিলেন শোয়েব? উত্তরে পাক-পেসার জানিয়েছেন, আগ্রাসী মেজাজ এই ভাবনার মূল কারণ। যেন-তেন-প্রকারে সচিনের ব্যাট সেই মুহূর্তে থামাতে চেয়েছিলেন তিনি। দলের জয়ের পথে সচিনকেই সবচেয়ে বড় কাঁটা বলে মনে করেছিলেন ওই ফাস্ট বোলার। যদিও অনেক চেষ্টার পরেও সচিনকে ওই টেস্টে আউট করতে পারেননি শোয়েব।