RCB vs SRH: হায়দরাবাদের রেকর্ড ২৮৭ রানের জবাবে বেঙ্গালুরুর ইনিংস শেষ ৭ উইকেটে ২৬২ রানে-তাও নজির
ট্র্যাভিস হেডের ঝোড়ো শতরান, জয়ের হাসি প্যাট কামিন্সের মুখে। লড়াকু ইনিংস দীনেশ কার্তিকের।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চরিত্র বদলাচ্ছে ২২ গজের। দশ বছর আগেও টেস্ট ক্রিকেটে ২দিন ব্যাট করে সাড়ে পাঁচশো রান তুলত কোনও দল। এখন ঝোড়ো ক্রিকেটের যুগে ৪০ ওভারে প্রায় ৫৫০ রান উঠল! সোমবার চলতি আইপিএল-এ (IPL 2024) হায়দরাবাদ বনাম বেঙ্গালুরুর ম্যাচে রানের বন্যা বয়ে গেলো। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (RCB vs SRH) তোলা রেকর্ড ২৮৭ রানের জবাবে বেঙ্গালুরুর ইনিংস শেষ হল ৭ উইকেটে ২৬২ রানে। সেটাও রেকর্ড। খেলা কোথায় যাচ্ছে। খুব দেরি নেই, যখন টি-২০ ম্যাচের একটি ইনিংসে ৩০০ রান এবং একদিনের ম্যাচে ৫০০ রান উঠবে, ম্যাচ শেষে এমনই অভিমত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।
আইপিএলে (IPL 2024) ফের রেকর্ড রান তুলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২৫ রানে হারাল আরসিবিকে। এদিন ট্র্যাভিস হেডের ১০২ ও হেনরিখ ক্লাসেনের ৬৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করেই আইপিএলের সর্বকালের সর্বোচ্চ ২৮৭ রান তুলেছিল সানরাইজার্স। নিজেদের তিন ম্যাচে আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ২৭৭ রান তুলে যে রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স, তা কামিন্সরা নিজেরাই ভেঙে ফেলেন। চিন্নাস্বামী ফের দেখল ব্যাটারদের তাণ্ডব কাকে বলে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচে দুই দল ৪০ ওভারে করল ৫৪৯ রান। যা আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা রেকর্ড। তবে শেষ হাসি হাসল কামিন্সরাই। এই নিয়ে আইপিএলের সাতটি ম্যাচ খেলে ছ’টিতেই হারল বেঙ্গালুরু। দীনেশ কার্তিকের লড়াইও বেঙ্গালুরুর হার বাঁচাতে পারল না। অন্য দিকে, ছ’টি ম্যাচ খেলে চারটিতে জয় পেল হায়দরাবাদ।
The art 🎨 of nailing practice to execution for a record breaking total! 🧡
— IndianPremierLeague (@IPL) April 16, 2024
Travis Head 🤝 Heinrich Klaasen#TATAIPL | #RCBvSRH | @SunRisers pic.twitter.com/gA5HcYGwFM
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন কোহলিরাও (RCB vs SRH)। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারলেন না তাঁরা। ওপেন করতে নেমে কোহলি করলেন ২০ বলে ৪২। ৬টি চার এবং ২টি ছয় মারলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। অপর ওপেনার ডুপ্লেসি ছিলেন বেশি আগ্রাসী। তাঁর ব্যাট থেকে এল ২৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস। বেঙ্গালুরু অধিনায়ক নিজের ইনিংস সাজালেন ৭টি চার এবং ৪টি ছক্কা দিয়ে। শুরুর ভালটা ধরে রাখতে পারলেন না বেঙ্গালুরুর পরের ব্যাটারেরা। পর পর আউট হলেন উইল জ্যাকস (৭), রজত পাটীদার (৯) এবং সৌরভ চৌহান (শূন্য)। ফলে বিনা উইকেটে ৮০ থেকে ৫ উইকেটে ১২২ হয়ে যায় বেঙ্গালুরু। এই চাপ আর সামলাতে পারেনি ডুপ্লেসির দল। শেষ দিকে ব্যাট হাতে লড়াই করলেন কার্তিক। কিন্তু উইকেটের অন্য প্রান্তে সঙ্গীর অভাবে দলকে জয়ের চৌকাঠ পার করে দিতে পারলেন না। ২৩ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কার্তিকের ব্যাট থেকে এল ৩৫ বলে ৮৩ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস। মারলেন ৫টি চার এবং ৭টি ছক্কা। রানের ফোয়ারার মাঝেও তিন উইকেট নিয়ে বল হাতে বেশ প্রভাবিত করলেন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।