Mayank Yadav: আইপিএলে নজির লখনউয়ের মায়াঙ্কের, ১৫৫.৮ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ডেলিভারি
চলতি আইপিএল-এ গতি-দানব মায়াঙ্ক যাদব।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভমন গিল থেকে রিঙ্কু সিং, যশপ্রীত বুমরা বা উমরান মালিক গত কয়েক বছরে আইপিএল (IPL 2024) থেকে উঠে এসেছে ভারতের একাধিক তারকা ক্রিকেটার। চলতি আইপিএলের আবিষ্কার হতে পারেন মায়াঙ্ক যাদব (Mayank Yadav)। লখনউয়ের হয়ে খেলা দিল্লির এই তরুণ পেসারের গতিতে নাজেহাল প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা। এবারের আইপিএলে দ্রুততম বল করার কৃতিত্ব এখন মায়াঙ্কের দখলে। শনিবারের ম্যাচে পঞ্জাবের ব্যাটারদের গতিতে বিব্রত করেছেন তিনি। তাঁর একটি বলের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫৫.৮ কিলোমিটার। যা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের নজর কেড়ে নিয়েছে। মায়াঙ্কের সব থেকে মন্থর বলটির গতি ছিল ১৩৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
২০২২ সালের নিলামে ২০ লাখ টাকায় মায়াঙ্ককে (Mayank Yadav) দলে নিয়েছিল লখনউ। সে বার ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। ২০২৩ সালে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের জন্য খেলতে পারেননি। শনিবার ক্রিকেটজীবনের প্রথম আইপিএল (IPL 2024) ম্যাচ খেললেন তিনি। অর্থাৎ অভিষেক ম্যাচেই নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন দিল্লির তরুণ। এখনও পর্যন্ত একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন মায়াঙ্ক। দিল্লির হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর মোট উইকেটের সংখ্যা ৫১। লখনউয়ের হয়ে আইপিএল অভিষেকে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ২১ বছরের মায়াঙ্ক ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচের সেরাও তিনি। গতির সঙ্গে ব্যালান্সও দারুণ। ওই ম্যাচে মায়াঙ্কের ২৪টি ডেলিভারি (৪ ওভার) ছিল— ১৪৭, ১৪৬, ১৫০, ১৪১, ১৪৭, ১৪৯, ১৫৬, ১৫০, ১৪২, ১৪৪, ১৫৩, ১৪৯, ১৫২, ১৪৯, ১৪৭, ১৪৫, ১৪০, ১৪২, ১৫৩, ১৫৪, ১৩৯, ১৪২, ১৫২, ১৪৮ কিমি প্রতি ঘণ্টা। নিজের সাফল্য নিয়ে ম্যাচের শেষে মায়াঙ্কের বক্তব্য, 'নিজের ফোকাস ঠিক রাখাটাই ছিল লক্ষ্য। আলাদা করে কিছু ভাবিনি। যা এতদিন করে এসেছি, সেটাই করতে চেয়েছিলাম। পেরেছি বলে ভালো লাগছে। আগামী দিনেও এটাই করে যেতে চাই।'
𝗦𝗽𝗲𝗲𝗱𝗼𝗺𝗲𝘁𝗲𝗿 goes 🔥
— IndianPremierLeague (@IPL) March 30, 2024
𝟭𝟱𝟱.𝟴 𝗸𝗺𝘀/𝗵𝗿 by Mayank Yadav 🥵
Relishing the raw and exciting pace of the debutant who now has 2️⃣ wickets to his name 🫡#PBKS require 71 from 36 delivers
Watch the match LIVE on @JioCinema and @StarSportsIndia 💻📱#TATAIPL |… pic.twitter.com/rELovBTYMz
লখনউয়ের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলও উচ্ছ্বাস গোপন করেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘মায়াঙ্ক শুধু ভাল বলই করেনি। গুরুত্বপূর্ণ উইকেটগুলোও তুলে নিয়েছে। গত মরসুমটা ওর ভাল যায়নি। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচেই চোট পেয়েছিল। আমি ওকে একটা কথাই বলেছি, ভাল ক্রিকেট খেলার জন্য প্রয়োজন প্রাথমিক বিষয়গুলো ঠিক ভাবে করা। বলের লাইন এবং লেংথের ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা বলেছি। মায়াঙ্ক সেটাই করার চেষ্টা করে। ম্যাচেও বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করেনি। ওর বলের গতি বাড়তি পাওনা।’’ লখনউয়ের তরুণ বোলারের পারফরম্যান্সে বিস্মিত ইংল্যান্ডের প্রাক্তন জোরে বোলার স্টুয়ার্ট ব্রডও। আইপিএলের (IPL 2024) অন্যতম ধারাভাষ্যকার বলেছেন, ‘‘মায়াঙ্কের বলের গতি সহজাত। বাড়তি কিছু চেষ্টা করে না। কিন্তু সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বলের লাইন এবং লেংথ। এত কম বয়সে এটা সাধারণত দেখা যায় না।’’ মায়াঙ্ক যাঁর ভক্ত, সেই ডেল স্টেইন বলছেন, 'এতদিন কোথায় লুকিয়েছিলে?' ব্রেট লির কথায়, 'সবচেয়ে দ্রুতগতির পেসার পেয়ে গেল ভারত। দারুণ পেস, মুগ্ধ হলাম।' কমেন্ট্রি বক্সে বসে শনিবারই সহ-ধারাভাষ্যকার স্টিভ স্মিথকে সতর্ক করে দিয়েছেন ব্রড। তাঁর মতে, ভারতীয় দলের সুযোগ পেলে বছরের শেষে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজেও স্মিথদের সমস্যা ফেলবেন মায়াঙ্ক (Mayank Yadav)।
— The Game Changer (@TheGame_26) March 31, 2024
আইপিএলে (IPL 2024) চমক হলেও মায়াঙ্ক যাদবের (Mayank Yadav) গতি দিল্লি ক্রিকেট মহলে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি মুস্তাক আলি ট্রফিতেও ১৫০ কিলোমিটার প্লাস প্রতি ঘণ্টায় তাঁর ডেলিভারি শোরগোল ফেলেছিল। দিল্লির ক্রিকেট মহল তাঁকে ডাকে 'শর পে মারনেওয়ালা বোলার' বলে। মাথায় মারার বুদ্ধিটা অবশ্য মায়াঙ্ককে দিয়েছিলেন তাঁরা বাবা প্রভু যাদব। তিনি আবার ছিলেন কার্টলে অ্যামব্রোজ, কোর্টনি ওয়ালশের ভক্ত। তাঁর স্মৃতিচারণা, 'আমি ছেলেবেলায় মায়াঙ্ককে বলেছিলাম, অ্যামব্রোজকে কেন ব্যাটসম্যানরা ভয় করে জানিস? কারণ ও মাথায় মারতে পারে।' গতির কথা উঠতেই মায়াঙ্কের বক্তব্য, 'ব্যক্তিগত জীবনেও আমি স্পিড পছন্দ করি। রকেট, জেট, সুপার বাইকের স্পিড আমার দারুণ ভালো লাগে।'
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।