১৯৭৭-১৭৭৮ সালে কলকাতার ভেটেরান ক্লাবে ফুটবল খেলতেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিশ্বজয়ী মারাদোনা ও মেসি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনাল শেষে কাপ উঠল ফুটবল ম্যাজিশিয়ানের হাতে। কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা বর্ণময় হয়ে থাকল লিওনেল আন্দ্রেস মেসির। ফুটবলের যাদুকরের খেলা দেখতে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন বহু বাঙালি। রাতজেগে বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল দেখলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। আদ্যোপান্ত মারাদোনা ভক্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুরু থেকেই আর্জেন্টিনার হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন। মেসির জন্য এই বিশ্বকাপ দরকার ছিল, বলছেন বিচারপতি।
একটি মামলা চলাকালীন হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদকের সঙ্গে কথাবার্তার মধ্যেই উঠে আসে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ। তখনই ফুটবল ভক্ত অভিজিৎ জানান, কলকাতাবাসীর পক্ষ থেকে মেসিকে ইমেইল করে শুভেচ্ছা জানানো উচিত। তবে মারাদোনা ভক্ত বিচারপতি বলেন, " মেসির পায়ে শাপমুক্তি ঘটলেও লিও কিন্তু মারাদোনা নয়। মেসি মারাদোনা হলে একা দশজনকে কাটিয়ে গোল দিত। ম্যাচ টাইব্রেকার পর্যন্ত গড়াত না। আর্জেন্টিনা না অন্য দেশ কে জিতলো সেটা বড় বিষয় নয়। ভাল ফুটবল খেলা দেখা গেল।" ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় লা আলবিসেলেস্তেদের। কাতারে সাতটি গোল করে আর্জেন্টিনার (Argentina) জয় নায়ক কিন্তু মেসিই, বলছে ফুটবল বিশ্ব।
আরও পড়ুন: "নিশ্চয়ই দিয়েগো এখন হাসছেন...", মেসিদের অভিনন্দন জানালেন 'ফুটবল সম্রাট' পেলে
আর্জেন্টিনা, মেসির জন্য খুশি হলেও বর্তমানে বাংলার ফুটবল নিয়ে আক্ষেপ শোনা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। একদা ময়দানে নিয়মিত ফুটবল খেলতেন বিচারপতি। ১৯৭৭-১৯৭৮ সালে কলকাতার ভেটেরান ক্লাবে খেলতেন। পরিতোষ চক্রবর্তী'র কোচিংয়ে প্র্যাকটিস করতেন। লাতিন আমেরিকার ফুটবল তাঁকে বরাবর আকর্ষণ করে। ব্রাজিল জিতলে খুশি হন। তবে এবার ব্রাজিল বিদায় নেওয়ায় আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন করছিলেন। তবে, আর্জেন্টিনা জিতলেও তাঁর গলায় আফসোসের সুর। বললেন, " স্ক্রিনে স্ক্রল হতে দেখলাম মোস্ট এক্সাইটেড ফাইনাল ম্যাচ। ভালো কথা। আমরা খেলা দেখতে ভালবাসি। ভাল সমর্থক। কিন্তু আমরা খেলতে পারি না। দীর্ঘদিন সন্তোষ ট্রফি অধরা বাংলার। সুরজিৎ, পি কে, অমল দত্তরা অতীত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।