এই প্রতিযোগিতায় মোট ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান...
গোল করার পর উল্লাস দিমিত্রি প্রেত্রাতোসের।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডুরান্ড কাপ (Durand Cup) জয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। ১-০ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে কাপ জিতে নিল মোহনবাগান। ম্যাচের প্রথমার্ধ গোল শূন্যই থাকে। দ্বিতীয়ার্ধে একমাত্র গোলটি করেন দিমিত্রি প্রেত্রাতোস। খেলার ৭১ মিনিটের মাথায় গোলটি করেন মোহনবাগানের ফরওয়ার্ড। খেলা শুরুর চার মিনিটের মাথায় প্রথম কর্নার পায় মোহনবাগান। যদিও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন বাগানি সেনারা। ১৫ মিনিটের মাথায় ফের কর্নারের সুযোগ পেলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় সবুজ মেরুন। খেলার ৩০ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। যদিও তা আটকে দেয় সবুজ মেরুনের রক্ষণ।
এদিকে, ম্যাচের (Durand Cup) প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল ব্যাক এলসে চোট পান। তাঁর বদলে নামানো হয় পার্দোকে। তবে তাতে অবশ্য কাজ হয়নি। প্রথমার্ধ গোলশূন্যই থাকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের সুযোগ পায় লাল হলুদ। ৪৭ মিনিটের মাথায় আনোয়ার আলির ব্যাক পাস আর একটু হলেই পেয়ে যাচ্ছিলেন সিভেরিয়ো। তবে বিশাল কাইথ বল বের করে দেওয়ায় গোল আর হয়নি। এদিনের ম্যাচে দু’ বার হলুদ কার্ড দেখানো হয়। একবার দেখানো হয় ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে।
দ্বিতীয়বার দেখানো হয় অনিরুদ্ধ থাপাকে। তাঁকে লালকার্ডও দেখানো হয়। এর পরেই মাঠে লড়াইয়ের দায়িত্ব চলে আসে বাগানের ১০ জনের ঘাড়ে। এর পরেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে সবুজ মেরুন। তার সুফলও ফলে অচিরেই। ৭১ মিনিটের মাথায় গোল করে মোহনবাগান। ১-০ গোলে শেষ হয় ম্যাচ। যদিও বাগানি সেনারা গোল করার পরে পরেই সমতা ফেরানোর চেষ্টা করেন নন্দকুমার। মহেশের ক্রসে বক্সের ভিতরে ফাঁকা জায়গা থেকে হেড করেন তিনি। যদিও বল সরাসরি লাগে বিশালের হাতে।
প্রসঙ্গত, উনিশ বছর পর আজ, রবিবার ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। এদিন বাড়তি জয় গেল সবুজ-মেরুন ঝুলিতে। স্বাধীনতার পর থেকে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মোট ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। পাঁচবার জিতেছে বাগান। দুবার ম্যাচ ছিল অমীমাংসীত, যুগ্ম বিজয়ী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।