ওঁর মত প্লেয়ারের কোচ হওয়াটাও ভাগ্যের ব্যাপার, মত স্কালোনির
সতীর্থদের কাঁধে।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথা উঁচু করে হাসতে হাসতে বিশ্বকাপকে বিদায় জানালেন লিওনেল মেসি। ফাইনাল ম্যাচে করলেন জোড়া গোল। বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলারের শিরোপা জিতলেন মেসি। পেলেন সোনার বল। এতদিনে স্বপ্ন পূরণ হল। এর আগে ২০১৪ সালে সোনার বল পেলেও তা গ্রহণ করেছিলেন চোখের জলে। কিন্তু এবার বিশ্বসেরা তাঁর দল। অধরা মাধুরী এতদিন পর স্পর্শ করতে পেরেছেন তিনি। তাই তো সোনার কাপের স্বাদ নিলেন দলের সকলের আগে। তৃপ্ত চুম্বন। তিনি তো রাজা। তবে কি এখানেই শেষ? আর্জেন্টিনা ও মেসি (Argentina Football Team) সমর্থকদের জন্য খুশির খবর। বিশ্বকাপকে বিদায় জানালেও জাতীয় দলের জার্সিতে অন্তত আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে চান ফুটবলের যাদুকর।
খেতাব জয়ের পর মেসি বলেন, ''নিঃসন্দেহে আমি এটাই চেয়েছিলাম যে বিশ্বকাপ জিতে শেষ করতে। এর থেকে বেশি আর কিই বা পেতে পারি আমি। আমি ফুটবল খুব ভালবাসি। কী করতে পারি আর। দেশের জার্সিতে খেলাটা সবসময় উপভোগ করি। এই দলটার সঙ্গে থাকা সবসময় উপভোগ করি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে চাই।''
আরও পড়ুন: ‘‘মেসির জন্য এই বিশ্বকাপ দরকার ছিল’’, বললেন আদ্যান্ত মারাদোনা-ভক্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি বলেন, ''পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য আর্জেন্টিনা স্কোয়াডে মেসি থাকবেন, যদি ওঁ খেলতে চায়। ওঁর মত প্লেয়ারের কোচ হওয়াটাও ভাগ্যের ব্যাপার।''তবে দেশের হয়ে খেললেও বিশ্বকাপ যে আর খেলবেন না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। সেমিফাইনাল জয়ের পরই মেসি (Lionel Messi) বলেছিলেন, ১৮ ডিসেম্বরের বিশ্বকাপ ফাইনালই এই মঞ্চে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। ফুটবল বিশ্ব ভেবেই নিয়েছিল, বিশ্বকাপের পরই আর্জেন্টিনার জার্সিতে অবসর নেবেন মেসি। সেই জল্পনাতেও জল ঢাললেন খোদ মেসি। আর্জেন্টিনার সমর্থকদের স্বস্তি দিয়ে লিও জানালেন, এখানেই শেষ নয়। নীল-সাদা জার্সিতে আরও কিছুদিন দেখা যাবে তাঁকে।
১৯৮৬ তে মারাদোনার হাত ধরে বিশ্বকাপ এসেছিল আর্জেন্টিনার ঘরে। তার ঠিক এক বছর পর মেসির জন্ম। মারাদোনাকে দেখেই বড় হয়ে ওঠা লিওর। ফুটবলকে ভালোবাসার কারণও সেই মানুষটি। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতেন, একদিন ওই সোনালি ট্রফি উঠবে তাঁর হাতেও। উঠলও। এদিন নিজের শেষ বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া হয়ে খেলছিলেন মেসি। আর তাঁকে বিশ্বকাপ দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে খেলছিলেন আর্জেন্টিনার বাকি ১০ ফুটবলার। রক্ষণ, মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ, কোথাও ফ্রান্সকে একটু জায়গা দিলেন না আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে রক্ষণেও নামতে দেখা গেল মেসিকে। যথার্থ নেতার মতো খেললেন তিনি। ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে সোনালি ট্রফি স্পর্শ করলেন মেসি। আর্জেন্টিনা (Argentina) শিবিরে এখন শুধুই আনন্দ উচ্ছ্বাস। ৩৬ বছরের জমানো আনন্দ যেন বাঁধ মানছে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।