Indian shooter Rubina: প্যারালিম্পিক্সে দেশকে পদক এনে দিলেন রুবিনা
প্যারিসের প্যারালিম্পিক্সে পদক জিতলেন ভারতের রুবিনা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার প্যারিসের গ্রীষ্মকালীন প্যারালিম্পিক্সের (Paralympics) তৃতীয় দিন ছিল। এই দিনেই মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল SH1-তে ব্রোঞ্জ জিতলেন ফ্রান্সিস রুবিনা (Indian shooter Rubina)। এর ফলে ভারতের পদক সংখ্যা হল পাঁচ। প্রসঙ্গত, টোকিও প্যারালিম্পিক্সে ফাইনালে সপ্তম স্থান অধিকার করেছিলেন রুবিনা। পদক জয়ের খুব কাছে গিয়েও ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। তবে এবার প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে শেষ পর্যন্ত পদক ঘরে তুললেন রুবিনা।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের রুবিনার (Indian shooter Rubina) জন্ম থেকেই পায়ের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনোভাব ও পরিশ্রমের জেরেই দেশকে পদক এনে দিতে সক্ষম হলেন তিনি। তিনি হলেন মধ্যপ্রদেশের দ্বিতীয় কোনও অ্যাথলেটিক যিনি ২০২৪ সালে পদক আনতে পারলেন। এর আগে বিবেক সাগর ভারতীয় হকি দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paralympics) ব্রোঞ্জ এনেছিলেন। প্রসঙ্গত রুবিনার যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকেই, যখন তিনি মধ্যপ্রদেশের রাজ্য স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে যোগদান করেন এবং তাঁর কেরিয়ারের সূচনা করেন জব্বলপুরের গ্লোরি অ্যাকাডেমিতে। চলতে থাকে তাঁর প্রশিক্ষণ। টোকিও প্যারালিম্পিক্সে মেডেল থেকে সামান্য দূরেই থামতে হয় তাঁকে। কিন্তু কখনই হতাশ হননি তিনি। এর পরেও তাঁর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে থাকেন এবং অবশেষে মেলে সাফল্য।
জানা গিয়েছে জব্বলপুরে থাকে রুবিনার পরিবার। তাঁর বাবা সাইমন ফ্রান্সিস ৬২ বছরের একজন মেকানিক। বাবাও তাঁর মেয়ের কৃতিত্বে গর্বিত এবং তিনি জানিয়েছেন, ৯ বছরের দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল ঘরে তুলেছে তাঁর মেয়ে। নিজের বিবৃতিতে সাইমন ফ্রান্সিস আরও বলেন, ‘‘আমার মেয়ে প্রত্যেককে গর্বিত করেছে।’’ রুবিনার মায়ের নাম হল সুনিতা ফ্রান্সিস, পেশায় তিনি একজন নার্স এবং তাঁর দাদা আলেকজান্ডার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। পরিবারের প্রত্যেকেই রুবিনার কৃতিত্বে গর্বিত। ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে অনেকগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের রেকর্ড গড়তে সক্ষম হন রুবিনা। জানা যায়, আন্তর্জাতিক স্তরে এই সময়ের মধ্যে ছয়টি মেডেল জিতেছিলেন রুবিনা এবং জাতীয় স্তরে ১৭টি মেডেল জিততে সক্ষম হন। প্যারালিম্পিক্সে পদক জয়ের পর রুবিনা বলছেন, ‘‘আমি স্কুলে পড়ার পাশাপাশি অন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। গান ফর গ্লোরি অ্যাকাডেমি শুটিংয়ের বিজ্ঞাপন দিতে আমার স্কুলে এসেছিল। তখনই আমি আমার বাবাকে বলেছিলাম যে শ্যুটিংয়ে আগ্রহ আছে আমার।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।