দেশের জার্সিতে ৬ জুন বিদায়ী ম্যাচ খেলবেন ভারতীয় ফুটবলের পোস্টার বয় সুনীল ছেত্রী
সুনীল ছেত্রী (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় পা রাখল ভারতীয় ফুটবল দল। আগামী ৬ জুন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রাক বিশ্বকাপের ম্যাচে কুয়েতের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত। ম্যাচটি ভারতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর আর্ন্তজাতিক ফুটবলের শেষ ম্যাচ (Sunil Chhetri)। ১৫০টি ম্যাচে দেশের জার্সিতে ৯৪টি গোলের মালিক ভারতীয় ফুটবলের সুনীল। সুনীলের অবসর ম্যাচকে ঘিরে আবেগের স্রোত বইতে শুরু করেছে ভারতের ফুটবল জগতে। ইতিমধ্যে ৬ জুনের টিকিট নিঃশেষিত। সুনীল ছেত্রীও (Sunil Chhetri) স্বয়ং আবেগতাড়িত।
কী বলছেন সুনীল?
তিনি বলছেন, ‘‘শেষ কয়েকটি দিন আমি দ্বিধার মধ্যে রয়েছি। জাতীয় দলের সঙ্গে আমার আর কয়েকটি দিন বাকি রয়েছে। আমি সেই দিন গুলোকে কীভাবে দেখব? আমি কি প্রতিটি দিন গুনব, প্রতিটি অনুশীলন হিসাব করব? কোনটা হবে আমার সঠিক পথ? অথবা শেষ ম্যাচটা কোনও চিন্তা না-করে স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হব? সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মনে হচ্ছে আমি মাঠের মাঝখানে। মাঠের মাঝখানে বলার কারণ কোনও কিছুই আমার কাছে সহজে আসেনি। তাই ঠিক প্রতিটি অনুশীলন প্রতিটি ক্ষণ আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করব। কোনও প্রশংসা ছাড়াই মনে হচ্ছে আমি ফুটবলের কাছে ভীষণভাবে ঋণী। আমি যা পেয়েছি তার জন্য আমার দলের কাছেও ঋণী।’’
এমন আবহেই নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এক আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন তিনি। সুনীল (Sunil Chhetri) লিখেছেন, ‘‘শেষের এই কয়েকটা দিন আমি বেশ দ্বিধায় ভুগছি। জাতীয় দলের হয়ে আমার আর হাতেগোনা কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে। আমি ভাবছি ঠিক এই সময়ে কোন পথটা আমার জন্য সঠিক হবে। আমি কী এখন থেকে প্রতিটা দিন গুনব। প্রতিটা অনুশীলন সেশন গুনব! নাকি আমি মাথায় কোনও রকম কোনও চিন্তা ছাড়াই প্রতিদিন অনুশীলনে যোগ দেব! মাথায় কী এই চিন্তাটা রাখব না যে, এটা আমার শেষের দিন। ওরা বলে, আমার এখন সময় এসেছে, তোমাদের আশীর্বাদ গোনার। এখন যখন প্রতিটা দিন আমি মাঠে নামছি, তখন তা আমার কাছে আশীর্বাদের মতন। আমি কোন কিছুকেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছি না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমি এখন থেকে আমার অনুশীলন যে সেশন তা গুনব। আর তা করব তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকেই। আমার মনে আর কোনও ধরনের কোনও চিন্তা নেই। এই খেলাটার (ফুটবল) প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমার দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আর এটা ওদের প্রাপ্য। আমার পক্ষে যদি সম্ভব হত তাহলে আমি এই অনুভূতিটা একটা বাক্সবন্দি করে রাখতাম। অথবা এই অনুভূতিটা নিয়ে আমি প্রতিটা অনুশীলন সেশনে নামতাম।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।