Kalinga Super Cup: সমর্থকদের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস! ওড়িশাকে উড়িয়ে এবার মিশন ডার্বি
জয়ের উচ্ছ্বাস।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। এক যুগ পর আবার ট্রফি নিয়ে শহরে ফিরল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সুপার কাপে টিমকে চ্যাম্পিয়ন করলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। সোমবার বিকেলে লাল-হলুদ টিম কলকাতায় পা দিতেই শুরু হয়ে গেল মাত্রাছাড়া উৎসব। বিমানবন্দরের রঙ লাল-হলুদ। টিমকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য় লাল-হলুদ আবির, স্মোকবম্ব,পতাকায় ছেয়ে দেওয়া হয় বিমানবন্দর। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। প্রায় হাজার দশেক সমর্থক ভিড় করেছিলেন বিমানবন্দরে। প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় কুয়াদ্রাত, ক্লেটন, গিলদের। অবশেষে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশি তৎপরতায় এক-একজনকে এসকর্ট করে বের করে নিয়ে আসা হয় বিমানবন্দর থেকে।
সবেমাত্র সুপার কাপ জয় করেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, এখন দলের আত্মতুষ্টির কোনও জায়গাই নেই। কারণ সামনেই আবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ডার্বি। জয়ের আনন্দেও ডার্বি ম্যাচের চিন্তা লাল-হলুদের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের। তিনি বলেন, "মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচের জন্য আমাদের একেবারে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা আপাতত খুব ভালো পারফরম্যান্স করছি। অনেকদিন পর আমরা আবার জিততে পেরেছি। তবে এরপর কলকাতায় ঘরের মাঠে মোহনবাগানের সামনে আমদের লড়াই যে কঠিন হবে, সেটা আমরা খুব ভালো করেই জানি। ডার্বি ম্যাচে জয়লাভ করা সত্যিই খুব কঠিন। তবে আমরা এই ম্য়াচটা জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করব।"
Good morning, #AmagoFans! ☀️❤️💛#KalingaSuperCup #JoyEastBengal #EastBengalFC pic.twitter.com/xWlhOk7IlQ
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) January 30, 2024
সোমবার সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল মাঠের উৎসব ক্ষণিকেই মিলিয়ে গেল। সমর্থকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস আর ক্লাব কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনার অভাবে দ্রুত উৎসব শেষ করতে বাধ্য হলেন ক্লাব কর্তারা। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল মাঠে পা রাখেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তার চার মিনিট আগে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার (নিতু) সুপার কাপ ট্রফিটি নিয়ে গিয়ে রাখেন সাজানো চারটি টেবিলের মাঝখানে। কোচের পিছু পিছুই মাঠে ঢোকেন ক্লেটন সিলভা, সৌভিক চক্রবর্তী, সাউল ক্রেসপোরা। ব্যস! অমনি দেখা যায় র্যাম্পার্টের দিকের কর্নার ফ্ল্যাগের সামনে দিয়ে কিছু ইস্টেবঙ্গল সমর্থক মাঠে ঢুকছেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তা যেন গ্যালারিতে সংক্রামিত হয়ে যায়। কেউ ফেন্সিং টপকান, তো কেউ উচ্ছ্বাসের ঠেলায় গ্রিলে লাগানো পলকা তালা ভেঙে দেন। বাঁধ ভেঙে যায়। কুয়াদ্রাতদের ঘিরে ফেলেন কয়েক হাজার ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। কোনওরকমে কেক কেটে উৎসবে ইতি টানেন কর্তারা। তবে চার মিনিটের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল টিম মাঠ থেকে তাঁবুতে চলে গেলেও আবেগের উদযাপন চলতেই থাকে। আতসবাজি, আবিরে দোল-দীপাবলী একাকার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।