Bangladesh: মাঠে পৌঁছেও খেলা হল না তাসকিনের
তাসকিন আহমেদ। ছবি— সংগৃহীত।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুম্ভকর্ণের ঘুমকেও হার মানিয়েছেন তাসকিন আহমেদ (Taskin Ahmed)। এমন গভীর ঘুম, যে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে খেলাই হল না তাঁর। সকালে ঘুম ভাঙেনি তাঁর। সতীর্থরা ডাকাডাকি করলেও সাড়া দেয়নি তাসকিন। ফলে টিম বাস ধরতে পারেননি। পরে, কোনও মতে দেরিতে মাঠে পৌঁছলেও তাঁকে আর খেলানো হয়নি। টিম বাস বেরিয়ে যাওয়ার পর, দেরিতে মাঠে পৌঁছে কোচ ও সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়েও কাজ হয়নি।
সদ্য সমাপ্ত টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে সুপার এইটের ম্যাচ খেলেননি বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার ও সহ অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ (Taskin Ahmed) । তিনি না খেলায় অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। ওই ম্যাচে দুই ফাস্ট বোলার খেলেছিলেন বাংলাদেশের হয়ে। তাঁরা হলেন তানজিম হাসান সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাসকিন অনেক গভীর রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। সেদিনের ম্যাচের আগে সকালে সঠিক সময়ে উঠতে পারেননি। তিনি টিম বাস মিস করেছিলেন। এমনকি তিনি ফোনও ধরেননি। পরে সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। বাংলাদেশের (Bangladesh) কোচ অসন্তুষ্টির কারণে তাসকিনকে কয়েকটা ম্যাচ সাইডলাইনে কাটাতে হবে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে তাসকিন আহমেদ (Taskin Ahmed) বলেন, “আমি একটু দেরি করেছিলাম ঠিকই। কিন্তু আমি টসের আগে মাঠে পৌঁছেছিলাম। আমি টসের প্রায় ৩০-৪০ মিনিট আগে মাঠে পৌঁছেছিলাম। আমি টিম বাস মিস করেছিলাম। সকাল ৮:৩৫ এ হোটেল ছেড়েছিল টিম বাস। আমি ৮:৪৩-এ রওনা দিয়েছিলাম। টিম বাসের সঙ্গে যাইনি ঠিকই। তবে মাঠে নামতে দেরি হয়নি। দেরি হওয়ার জন্য আমার মাঠে নামা হয়নি, বিষয়টা তেমন নয়।”
সাকিব আল হাসান জানান, বাস সাধারণত নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে যায়। টিম বাসের জন্য প্লেয়ারকে অপেক্ষা করতে হয়। টিম বাস নির্দিষ্ট কারও জন্য অপেক্ষা করে না। কেউ যদি বাস মিস করে, তাহলে ম্যানেজারের গাড়ি বা ট্যাক্সি করে আসতেই পারে। যিনি টসের ৫ বা ১০ মিনিট আগে আসবেন, তাঁকে ম্যানেজমেন্টের পক্ষে নির্বাচন করা কঠিন কাজ। এটা খেলোয়াড়দের জন্য একটা বিকট পরিস্থিতি। তাসকিন যা করেছে তা অনিচ্ছাকৃত। সবাই খুব স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়েছে। বিষয়টি সেখানেই শেষ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন : "বিরাট-রোহিত" দুই ভাই, ঘোষণা বিশ্বকাপজয়ী পুত্রের মায়ের
সেদিন সহ অধিনায়ক হলেও ভারতের বিরুদ্ধে খেলানো হয়নি তাসকিনকে (Taskin Ahmed) । তাঁর বদলে জাকির আলিকে দলে নেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের (Bangladesh) এই সিদ্ধান্তের সমালোচনাও হয়। তাসকিন থাকলে হয়তো পরিস্থিতির একটু হলেও বদল হতে পারত। এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি কোচের ছিল, জানিয়েছে দলের একাংশ। বাংলাদেশ সুপার এইটে শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে দিলে তাঁদের সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ ছিল। শেষ ম্যাচে আফগানিস্তান প্রথম ব্যাট করে ১১৫ রান করেছিল। বাংলাদেশ যদি ১২.৩ ওভারে সেই রান তাড়া করে জিততে পারত, তাহলে শেষ চারে জায়গা হয়ে যেত। কিন্তু সেই ম্যাচেও হারে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে লজ্জাজনকভাবে হেরে ফের একবার খালি হাতে বিদায় নিতে হল সাকিব আল হাসানদের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।