মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতদিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের মেয়াদ শেষ। সোমবার ফের আলিপুর কোর্টে (Alipur Court) তোলা হয় প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya)। এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের হেফাজতে চায় সিবিআই। কিন্তু উপাচার্যের আইনজীবীরা বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর তাঁদের মক্কেলকে গ্রেফতার করার পর থেকে আজ পর্যন্ত একবারের জন্যও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই আধিকারিকেরা জানান, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সুবীরেশ। পাল্টা সুবীরেশের আইনজীবীরা বলেন, যাঁকে জিজ্ঞাসবাদই করা হল না, তাঁর ক্ষেত্রে সহযোগিতা, অসহযোগিতার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? সমস্ত সওয়াল-জবাব শুনে সুবীরশকে ১০ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের বিচারক।
আরও পড়ুন: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তিপ্রসাদ সিনহা। সুবীরেশের সময়েই প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী ২০১৬ সালে চাকরি পান। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের রায়ে অঙ্কিতা চাকরি খুইয়েছেন। শুধু তাই নয়, সুবীরেশের আমলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি চরম আকার নিয়েছিল বলে ধারণা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তাঁর সময়কালেই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সিবিআই সেই নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি তদন্ত করছে। সুবীরেশকে তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চায় সিবিআই।
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ, পজিটিভিটি রেট বেড়ে ৫.৩১%
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) অভিযোগে দলের প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ভিতরেই ৷ প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, একের পর এক নেতাদের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাওয়ায় হতাশ দলের নিচুতলার কর্মীরাও৷ তাদের বক্তব্য, এই ঘটনা বাংলার ঐতিহ্যকেই কলুষিত করছে ৷ সরব হয়েছেন দলের প্রথম সারির এক নেতাও ৷ ওই নেতার প্রশ্ন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডাব্লিউবিএসএসসি-এর চেয়ারম্যান এবং শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন কীভাবে ! কোনও ব্যক্তির প্রতি সুবীরেশের একান্ত আনুগত্যই তাঁকে এই তিনটি পদে একসঙ্গে আসীন রেখেছিল ৷ এই ঘটনা জনসমক্ষে যে সরকার এবং দলের মুখ পুড়িয়েছে, তাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন ওই নেতা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours