মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিলাসবহুল জীবন এখন অতীত! এসি তো ইতিহাস! মাথার উপর ধীরে ঘুরতে থাকা পাখার হাওয়াই সম্বল। এমনকী বিছানাটাও নেই। কম্বল পেতে মেঝেয় শুয়ে রাত কাটাতে হল বর্তমানে সাসপেন্ড হওয়া একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা তথা প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রীকে।
এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) শুক্রবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট (Bankshall court)। এরপরই, দুজনকে স্থানান্তর করা হয় জেলে। একদিকে পার্থকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail)। অন্যদিকে, আলিপুর জেলে (Alipore Jail) নিয়ে যাওয়া হয় অর্পিতা।
জেলের প্রথম রাত কেমন কাটাল দুজনের? এই প্রশ্ন এখন সকলের মুখে ঘোরাফেরা করছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্সি জেলের বাইশ নম্বর ওয়ার্ডে দুই নম্বর সেলে রয়েছেন পার্থ। ওষুধও খেয়েছেন সময়মতো। প্রাক্তন মন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছিল ২টো কম্বল। সেগুলো পেতে মেঝেয় শুয়েছেন। শনিবার সকালে চা-বিস্কুট দেওয়া হয় পার্থকে। রাতে একবার জেল হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয় মন্ত্রীকে। ইডি-র (ED) তরফে দেওয়া হয়েছে পোশাক ও বই।
আরও পড়ুন: ১৪ দিন শ্রীঘরে! পার্থ-অর্পিতাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল কোর্টের
অন্যদিকে, আলিপুর জেলের (Alipore Jail) ২ নম্বর ঘরে রয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে তাঁকে বাড়তি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তদারকি করছেন জেলের সুপার। ভালো আচরণ করার জন্য বন্দিদের যে ঘরে রাখা হয়, তারই একটি ঘর অর্পিতার জন্য বরাদ্দ হয়েছে। সূত্রের খবর, জেলে আসার পর কান্নাকাটি করেন অর্পিতা। রাতে খাবার দেওয়া হলেও খাননি। সকালে তাঁকেও চা-বিস্কুট দেওয়া হয়। খবর সূত্রের।
গতকাল আদালতে শুনানিতে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, অর্পিতাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হলে তাঁর প্রাণসংশয় রয়েছে। তাই তাঁকে জল ও খাবার দেওয়ার আগে, যেন পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হয়। এর পর, আদালতের নির্দেশে অর্পিতার জন্য ২৪-ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁকে খাবার, জল দেওয়ার আগে, ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠতা! তিনি ভালোভাবে চেনেনই না অর্পিতাকে, পার্থর কথা শুনে অবাক ইডি
এদিকে, গতকাল সকালে, আদালতে পেশ করার আগে, পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জোকার ইএসআই (Joka ESI) হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা পার্থকে পরীক্ষা করে দেখেন, গত ১২ দিন ইডি হেফাজতে থাকার ফলে, প্রাক্তন মন্ত্রীর ওজন ১১১ কেজি থেকে তিন কেজি কমে ১০৮ হয়েছে। যদিও, দ্রুত এতটা ওজন কমার পিছনে কোনও অসুখ নয়, জানিয়েছে জোকার ইএসআই হাসপাতাল। গুরুতর কোনও শারীরিক সমস্যা নেই বলেই জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।
+ There are no comments
Add yours