SSC Scam: ‘শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছে রাজ্য’! হামাগুড়ি দিয়েই রাজভবন অভিযান এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের

প্রবল তাপপ্রবাহে তপ্ত পিচের মধ্যেই হাত, পা ঘষে এদিন রাজভবনের দিকে এগোতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা।
Job-Candidates
Job-Candidates

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বঞ্চনায় ভেঙে গেছে শিরদাঁড়া, দাবি শুধু স্বসম্মানে বাঁচার। হকের চাকরির দাবিতে শুক্রবার দুপুরে হামাগুড়ি দিয়েই রাজভবনের পথে এসএসসি (SSC) চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগে কার্যত জেরবার রাজ্য সরকার। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ৭৬৮দিন ধরে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন করছেন। মামলার পর মামলা হয়েছে, তারপরও সুরাহা হয়নি তাঁদের। সরকারের আশ্বাস হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে। এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা।

রাজভবন অভিযান

এই প্রবল তাপপ্রবাহে তপ্ত পিচের মধ্যেই হাত, পা ঘষে এদিন রাজভবনের দিকে এগোতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। হামাগুড়ি দিয়ে কিছুটা এগোনোর পরই পুলিশ গাড়িতে তুলে নেয় চাকরি প্রার্থীদের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই তল্লাটে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এভাবে হামাগুড়ি দিয়ে বা হেঁটে মিছিল করে যাওয়া যাবে না। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সরকার কোনওভাবেই তাঁদের নিয়োগ দিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে হস্তক্ষেপ করুন। ৯-১০ বছর ধরে রাস্তায় বসে রয়েছেন তাঁরা, অথচ টাকা দিয়ে চাকরি করছেন অযোগ্যরা (SSC Scam)? এই প্রশ্ন তুলেই রাজভবনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

চাকরিপ্রার্থীদের দাবি

আন্দোলনকারীদের ১১টি সংগঠন একসঙ্গে এদিন রাজভবন যায়। প্রশাসন পথ আটকালে বাধ্য হয়ে পুলিশের গাড়িতে করে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ১১ জনের এক প্রতিনিধিদল রাজভবনে যায়। এদিন রাজ্যপাল না থাকায় তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের। রাজ্যপালের সচিবের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে স্মারকলিপি দিয়ে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। পরে চাকরিপ্রার্থীরা জানান, বহুদিন ধরে তাঁরা মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য বহুবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁরা কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাননি।  তাঁদের প্রশ্ন, আর কতদিন জলে ভিজে, রোদে পুড়ে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন? এরপর যদি কোনও আন্দোলনকারী জীবন বিসর্জন দেন, তার দায় কি মুখ্যমন্ত্রী কিংবা রাজ্যপাল নেবেন। চাকরিপ্রার্থীরা দ্রুত সমস্যার সমাধান চেয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। যত শীঘ্র সম্ভব তাঁরা নিজেদের প্রাপ্য নিয়োগপত্র হাতে পেতে চান।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles