মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম ভাঁড়িয়ে ‘আরমান গঙ্গোপাধ্যায়’ হন গোপাল দলপতি। চিটফান্ড মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরই এই পরিচয় নেন তিনি। ইডির জেরায় গোপাল জানিয়েছে, আরমান গঙ্গোপাধ্যায় নাম বদলে তিনি নথিপত্র বানিয়েছিলেন। সেবি যখন সব বন্ধ করে দিয়েছিল তখন আমি নাম বদলাতে বাধ্য হয়েছিলাম। দাবি গোপালের।
আদালতে গিয়ে নাম বদল
ইডি সূত্রে খবর, ‘আরমান’ নামেই গোপাল তৈরি করেন যাবতীয় পরিচয়পত্র। সেই আধার কার্ড, প্যান কার্ড-সহ যাবতীয় পরিচয়পত্র এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) হাতে। ইডি জানিয়েছে, হুগলির (Hooghly) ধৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের মুখে তাপস মণ্ডলের সঙ্গে সঙ্গে উঠে এসেছিল গোপাল দলপতির নামও। কুন্তলের দাবি ছিল, তিনি গোপালকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছেন। যদিও গোপাল ইডির কাছে তা অস্বীকার করেন। জেরার সময় ইডি আধিকারিকরা তাঁর পরিচয়পত্র দেখতে চান। সেখান থেকেই তাঁর আরমান পরিচয় সামনে আসে। সেবি (SEBI)তাঁর যাবতীয় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিলে আদালতে গিয়ে এফিডেফিট করে ‘আরমান গঙ্গোপাধ্যায়’ নাম নেন।
আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?
নাম ভাঁড়িয়ে কালো টাকা সাদা!
ইডি আধিকারিকদের মতে, নাম ভাঁড়িয়ে একাধিক সংস্থা খুলে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেন তিনি। গোপাল দলপতি বলেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ নেই। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে চিনতাম। কোনও টাকা আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিইনি। কুন্তল প্রসঙ্গে বলেন, আমার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়েছিল। যখন অভাব পড়েছে কখনও ৭০ হাজার, কখনও ৩০ হাজার কখনও ১ লাখ টাকা দিয়েছে। অ্য়াকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিল…হাত খরচার জন্য…সেই সময় তাপসদার কাজ দেখভাল করতাম। বলত প্রেসার দাও, ফান্ড যাতে তাড়াতাড়ি দেয়, সেকারণেই হয়তো টাকা দিত।" ইডির কাছে গোপালের দাবি, তাঁর সামনেই ৯৪ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল। আবার কুন্তলও তাঁকে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন। গোপাল বলেন, "আমি কুন্তলের কাছে কয়েকবার বলতে শুনেছি কাকু কাকু। কাকুর কাছে পেমেন্ট দিতে হবে। কাকু কে জানতাম না। কালীঘাটের কাকুর কাছে যেতে হবে বলত। কাকু আদৌ কে, তা জানি না।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours