মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল রাতে মহানগরীতে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড (SSKM Fire)। আর এর রেশ কাটেনি এখনও। শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ আগুন। ভয়াবহ পরিস্থিতি। গল গল করে ধোঁয়া বের হতে থাকে। রাত তখন দশটা, আর সেসময় এসএসকেএম হাসপাতালে জরুরী বিভাগের সামনে রেডিও ডায়াগনোসিস বিভাগের দোতালায় আগুন লাগে। গতকালের ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এরপরেই মুখ্যসচিব ফরেনসিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
কীভাবে আগুন লাগে?
শর্ট সার্কিট থেকেই সিটি স্ক্যান মেশিন এবং তার যন্ত্রাংশ থেকে আগুনের উৎপত্তি বলে প্রাথমিক অনুমান (SSKM Fire)। সেই ঘরে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত থাকায়, তা ফেটে আগুন আরও বাড়তে থাকে। আগুন লাগার পরেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় দমকলের দশটি ইঞ্জিন। সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আগুন নেভানো কাজ শুরু করেন দমকল কর্মীরা। রোগীদের যে ঘরে আগুন লেগেছিল সেখানে কোন রোগী ছিলেন না তবে, ধোঁয়ার কারণে আশেপাশের ওয়ার্ড থেকে রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
কোন কোন পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে?
আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের ৩টি ঘর। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সিটি স্ক্যান বিভাগের। এই পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট দেওয়ার পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। ব্যাহত হতে পারে ইউএসজি, সিটি স্ক্যান ডিজিটাল এক্স রে-র মতো পরিষেবা। এমনকি এমার্জেন্সিতে ভর্তি হওয়ার জন্য টিকিট কাটার যে ব্যবস্থা আছে, তাতেও বিঘ্ন হতে পারে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন।
ফরেনসিক তদন্তের নির্দেশ
ঘটনার দু'ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে (SSKM Fire) আসলেও কীভাবে আগুন লাগল তার ফরেনসিক তদন্ত হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব দ্বিবেদী। এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার আসল কারণ কী, তাও এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবে। পাশাপাশি পুলিশ ও দমকলও আলাদা করে তদন্ত করবে জানা গিয়েছে। গতকাল ঘটনাস্থলে হাসপাতালে পৌঁছন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব নগরপাল এবং তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। আসেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষও।
রোগীদের নিরাপদে সরানো হয়েছে
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অবস্থা খারাপ হওয়ায় জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলেন দমকলকর্মীরা (SSKM Fire)। রোগীদের সুরক্ষার জন্য নিউ ক্যাজুয়াল্টি বিভাগ থেকে ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগীকে অন্যত্র সরানোও হয়। রোগীদের নিরাপত্তার কারণে নিউ ব্লকের ম্যাকেঞ্জি ওয়ার্ডে এবং ট্রমা কেয়ার সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়।
প্রশ্নের মুখে রাজ্য প্রশাসন
এরই মধ্যে এসএসকেএমের মতো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আগুন লাগার খবরে ফের শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। ২০১৬, ২০১৮-র পর আবার ২০২২। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে ফিরে আসে সেই ৬ বছর আগের হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি। কোথায় গাফিলতি? কেন বারবার অগ্নিকাণ্ড হাসপাতালে? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে (SSKM Fire)।
+ There are no comments
Add yours