Agitation: আরজি করের ঘটনায় মঙ্গলবারও রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চালিয়ে গেলেন ডাক্তাররা
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে তোলপাড়় চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে (Agitation) সামিল হয়েছেন। জানা গিয়েছে, কর্মবিরতি পালনের ডাক দেয় ২১টি হাসপাতাল। এর মধ্যে কলকাতার সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল তো রয়েছে, পাশাপাশি জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালগুলিতেও কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকেরা। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে আউটডোর চিকিৎসা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে, কিছু কিছু হাসপাতালে রোগীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে কর্মবিরতিতে রাশ টানা হয়। এক ঘণ্টার প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করার পরে আবার স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।
উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাটে স্বাস্থ্য জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মঙ্গলবার সকাল থেকে নার্স এবং চিকিৎসকদের কর্মবিরতি (RG Kar Protest) শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা বলেছেন, "আমাদের এক সহকর্মীকে খুনের প্রতিবাদে আমরা ১ ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতির ডাক দিতে বাধ্য হয়েছি।" এদিন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালেও চিকিৎসকেরা এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে হাসপাতাল চত্বরে প্রতিবাদ জানান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রেখে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন ডাক্তাররা। হাওড়ার মহেশ ভট্টাচার্য হোমিওপ্যাথি কলেজে আন্দোলন অব্যাহত। হুগলি চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ওপিডি-তে কাজ করছেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা। সিনিয়ররা পরিষেবা চালু রেখেছেন। মঙ্গলবার বেলা এগারোটা থেকে বারোটা পর্যন্ত 'পেন ডাউন' করেন হাসপাতালের সব চিকিৎসক। তাতে যোগ দেন নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। মঙ্গলবারও কালো ব্যাজ পরে হাতে পোস্টার নিয়ে স্লোগান দেন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি চলছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সকাল থেকে আউটডোর বিভাগে চিকিৎসার জন্য রোগীদের টিকিট দেওয়া শুরু হলেও পরে কয়েক জন জুনিয়র চিকিৎসক এসে কাউন্টার বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়াদের আন্দোলন চতুর্থ দিনেও অব্যাহত।
আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে আজ পথে বুদ্ধিজীবীরা, বিচারের দাবিতে নাগরিক মিছিল রুখল পুলিশ
নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ (RG Kar Protest) শুরু করেন পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়ারা। মেডিক্যাল কলেজের মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। বন্ধ থাকে আউটডোর পরিষেবা, বন্ধ ডাক্তারি পঠনপাঠন। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। আউট ডোরের সামনে বিক্ষোভ-অবস্থান করেন জুনিয়র ডাক্তার-সহ ছাত্র-ছাত্রীরা। চিকিৎসক না আসায় বালুরঘাট হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক বালকের। সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি করানো হলেও সকাল ৭টা পর্যন্ত কোনও চিকিৎসক দেখতে আসেননি। তবে এর সঙ্গে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির সম্পর্ক নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে যখন টালমাটাল পরিস্থিতি, এমার্জেন্সি-নন এমার্জেন্সিতে কর্মবিরতি চলছে, সেইসময় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিবাদ তারা জানাচ্ছে। তবে কর্মবিরতির পথে হাঁটছে না। বারাসত মেডিক্যাল কলেজের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, আমরা রোগী ফেরাচ্ছি না। আসলে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন রোগীরা। তাঁরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাবেন, এটা সম্ভব নয়। আর বিভিন্ন হাসপাতালে এখন যেহেতু কর্মবিরতির কারণে পরিষেবা সমস্যায় পড়ছে, তাই চেষ্টা করছি রোগীকে অন্যত্র ট্রান্সফার না করে যথাসাধ্য এখানেই চিকিৎসা দিতে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।