এখনও খোঁজ নেই অনেকের, উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা
নিখোঁজের কারণে উদ্বিগ্ন শেখ খোকনের পরিবার। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) কবলে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ভাতারের খোকনের পরিবারের লোকজন শনিবার সকালে খবর পান, ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। আর তাই তড়িঘড়ি তাঁরা খোকনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বারবার যোগাযোগ করেও ফোন সুইচড অফ আসে। কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। অপর দিকে, দুর্ঘটনার চারদিন পরেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বীরভূমের কনকপুর গ্রামের তিন যুবকের। উদ্বিগ্ন এঁদের সবার পরিবারের সদস্যরা।
দুর্ঘটনায় (Coromandel Accident) নিখোঁজ পূর্ব বর্ধমানের ১ রাজমিস্ত্রি
এক চিলতে বাড়ির মধ্যেই স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে বসবাস। সংসারের অভাব মেটাতে ও বাড়ি তৈরি করার জন্য কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ভাঁটাকুল গ্রামের বাসিন্দা শেখ খোকন। দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) দিন অর্থাৎ শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। শালিমার স্টেশনে ট্রেনে চেপে পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা। ট্রেনেই বাড়ির তৈরি খাবার খাচ্ছেন তিনি, এ কথা জানিয়েছিলেন খোকন। সব কিছু স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু পথেই ঘটল বিপত্তি।
স্বামীর সন্ধান না পেয়ে শনিবার রাতেই ওড়িশার বালেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেন খোকনের স্ত্রী বুলটি বিবি সহ আত্মীয়-স্বজনরা। প্রায় চারদিন অতিক্রান্ত। দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) পর এখনও খোঁজ নেই খোকনের। বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ। বাবার ছবি হাতে নিয়ে কান্নাকাটি করছে দুই নাবালক সন্তান। শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে প্রতিবেশীরা রান্না করা খাবার বাড়িতে দিয়ে যাচ্ছেন। আদৌ কি খোকন বাড়ি ফিরবেন! নাকি তাঁর কোনও দুঃসংবাদ আসবে! এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার। পরিবারের দাবি, গ্রামে কোনও কাজকর্ম নেই, বাড়িতে আর্থিক অনটন। পেটের তাগিদেই কেরলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন খোকন। স্ত্রীর কানের দুল স্বর্ণকারের কাছে বন্ধক রেখে সেই টাকা নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন খোকন। এখন তাঁর অপেক্ষায় দিন গুনছেন পরিবারের সদস্যরা।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) চারদিন পরেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না পাইকর থানার কনকপুর গ্রামের তিন যুবকের। দুর্ঘটনার দিন শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠে চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজ করতে যাচ্ছিলেন সানাউল সেখ, রফিকুল সেখ ও শান্ত সেখ। ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকী তাঁদের সঙ্গে থাকা মোবাইলেও যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। তবে তাঁদের খোঁজে ইতিমধ্যেই বালেশ্বর পৌঁছেছেন আত্মীয়রা কিন্তু সেখানে গিয়েও খোঁজ মেলেনি। এদিকে নিখোঁজ শ্রমিকদের বাড়ি গিয়ে সমবেদনা জানান মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।