Hospital: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ফের একের পর এক শিশুর মৃত্যু, বাড়ছে উদ্বেগ
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কয়েকমাস আগে একদিনে ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনা সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য থেকে জেলায় স্বাস্থ্য দফতরের টিমও গিয়েছিল। পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়। কিন্তু, ফের একদিনে একাধিক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
২৪ ঘণ্টায় ৭ জন শিশুর মৃত্যু! (Murshidabad)
মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই হাসপাতালে। অসুস্থ বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে আসতেও ভয় পাচ্ছেন পরিবারের লোকেরা। রেজিনগরের হাসিবুল শেখের নাতিও মারা গিয়েছে। তিনি বলেন, "আমি তো দেখলাম তিনটে বাচ্চা মারা গিয়েছে। আর আমার নাতিকে বহরমপুর নার্সিংহোম থেকে এখানে নিয়ে আসি। তারপর এখানেই নাতির মৃত্যু হয়েছে। শরদিন্দু মণ্ডল নামে এক রোগীর পরিবারের সদস্য বলেন, হাসপাতালে ১০ জন শিশুর মৃত্যুর পরও কর্তৃপক্ষের হুঁশ ফেরেনি। ফলে, পরিকাঠামো ঠিক করা হয়নি। তারজন্যই এই ঘটনা ঘটল। কার গাফিলতি তার তদন্ত হওয়া দরকার। রোগীর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, এমনও অভিযোগ ওঠে শিশু মারা গেলেও দেহ ফেলে রাখা হয়, যাতে সংখ্যাটা না বাড়ে। পরে, খাতায় এন্ট্রি করা হয় বিস্তারিত। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা মানতে চায়নি।
আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু
হাসপাতাল (Hospital) সূত্রের জানা গিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়। সাত জন শিশুর মৃত্যু প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Hospital) অধ্যক্ষ অমিত দাঁ বলেন, "আমাদের কাছে একটা শিশু এলেও তাকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানোই লক্ষ্য থাকে। আমাদের কাছে এরকম অফিশিয়াল কোনও তথ্য নেই, যেখানে বলতে পারব ৭-৮ জন শিশু মারা গিয়েছে। তবে, এটুকু বলতে পারি, মুর্শিদাবাদ অনেক বড় জেলা। একটাই মেডিক্যাল কলেজ। প্রচুর শিশু আছে। আমাদের ডাক্তারবাবুরা সাধ্যমত চেষ্টা করেন। তারপরও কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।