ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে আত্মপক্ষ সমর্থনে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজনের নিয়োগপত্রে চাকরি করছেন আর এক জন। এরকমই চাঞ্চল্যকর (Shocking) ঘটনা সামনে এল মুর্শিদাবাদ জেলায়। মুর্শিদাবাদের DI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্যের নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জালিয়াতি করে সুতির স্কুলে শিক্ষকপদে চাকরি করছেন অনিমেষ তিওয়ারি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে, এবার আর এক অন্যরকম দুর্নীতি। সুতি ১ নম্বর ব্লকের (Suti Block) গোথা এ রহমান স্কুলের ঘটনা। কর্মশিক্ষার (Work Education) শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি (Animesh Tiwari) আসলে ভুয়ো শিক্ষক। মুর্শিদাবাদ জেলা স্কুল পরিদর্শকের (DI) রিপোর্টেই সেই তথ্য উঠে এসেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে (Ashis Tiwari) আত্মপক্ষ সমর্থনে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আশিস আবার অনিমেষের বাবা।
কলকাতা হাইকোর্টে বুধবার মুর্শিদাবাদের ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আসে। এরপরেই এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়। আইনজীবী ফিরদৌস সামিম কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন এই বিস্ফোরক অভিযোগ হলফনামা আকারে আনেন। ২০১৮ সাল থেকে ওই ভুয়ো শিক্ষক চাকরি করছেন, এমনকী নিয়মিত বেতনও তুলছেন! এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি এই মামলায় এসএসসি এবং শিক্ষা পর্ষদের কাছেও রিপোর্ট চেয়েছেন। কর্মশিক্ষার শিক্ষক পদে ওই শিক্ষকের স্কুল রেজিস্ট্রার সহ যাবতীয় নথি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি না ব্যতিক্রমী দুর্নীতি সেটাই খতিয়ে দেখতে চাই।
আরও পড়ুন: "বড়দিনের উৎসবে মাস্ক পরুন, দূরত্ববিধি মেনে চলুন", সংসদ থেকে বিশেষ বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
জানা গিয়েছে, ভূগোলের শিক্ষক পদে অরবিন্দ মাইতি নিয়োগপত্র পান বেলডাঙার একটি স্কুলে। তাঁর নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জালিয়াতি করে অনিমেষ তিওয়ারি চাকরি করছেন। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এরকমই বিস্ফোরক তথ্য। শিক্ষা দফতরের ওয়েবসাইটে তথ্য বলছে ওই স্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি। কিন্তু দেখা যায়,অনিমেষের বিষয়(মেথড সাবজেক্ট) ইতিহাস। তাহলে স্কুল কীভাবে বলছে তিনি কর্মশিক্ষার শিক্ষক? আবার আরটিআই তথ্য বলছে ‘এসএলএসটি ২০১৬’ পরীক্ষার্থী নয় অনিমেষ। কর্মশিক্ষা শিক্ষক নিয়োগের আগের পরীক্ষা হয় ২০১২ সালে। সেই সময়ে পরীক্ষা দিলে অনিমেষ তিওয়ারি বয়স হয় ১৭ বছর। কারণ তাঁর জন্ম বছর ১৯৯৫। কর্মশিক্ষা শিক্ষক হওয়ার নূন্যতম বয়স ২০ বছর। ২০১২ পরীক্ষা দিলে,১৭ বা ১৮ বছরে কী ভাবে পরীক্ষায় বসলেন অনিমেষ? এই সব দেখেই সন্দেহ হয় আদালতের। আর কেঁচো খুঁড়তেই বেড়িয়ে পড়ে কেউটে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।